ঢাকা: ঈদের সময় শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণসংযোগ চালাবেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় তারা তৃণমুল নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন এবং খোঁজখবর নেবেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই এরই মধ্যে নিজ নিজ এলাকার জনগণের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছেড়ে গেছেন।
দলের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলির সদস্য ওবায়দুল কাদের, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, সহদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ প্রমুখ নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলির সদস্য পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীসহ অনেকেই ঢাকায় ঈদ করে নিজ নিজ এলাকায় যাবেন শুভ্চ্ছো বিনিময় করতে। অনেকে ঈদের ছুটির পুরোটাই এলাকায় কাটাবেন।
ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপশি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিষয়েও মতবিনিময় হবে। তৃণমুল পর্যায়ে সাংগঠনিকসহ অন্যান্য যে সব সমস্যা আছে সেগুলোও উঠে আসবে এবং সমাধানের চেষ্টাও করা হবে বলে নেতারা জানান। তাছাড়া চলমান রাজনীতি সম্পর্কে যতটা সম্ভব প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনাও থাকবে বলে জানান তারা ।
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঈদ ধর্মীয় উৎসব হলেও এর চেয়ে বড় গণ সংযোগের সুযোগ আর নেই, একমাত্র নির্বাচন ছাড়া। অন্য কোনো সময় এতো বেশী নেতাকর্মীসহ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয় না। ’
ঈদের সময় ভালো গণসংযোগ হয় বলেও মত দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এসময় মন্ত্রী, এমপি, নেতারা নিজ নিজ এলাকায় যান। সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। দলের তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী, এমপিদের দুরত্ব কমে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা এক জায়গায় হলে সাংগঠনিক বিষয় তো এসেই যায়। ’
এ প্রসঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা আমরা নিজ নিজ এলাকায় গেলে সাংগঠনিক খোঁজখবর সব সময়ই নেই। ঈদের সময় নেতাদের যারা যারা এলাকায় যাবেন প্রত্যেকেই তৃণমুল পর্যায়ের সাংগঠনিক খোঁজ খবর নেবেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবেন। ’
অপর সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দলের সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ অভিযান চলছে। এলাকায় গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সদস্য সংগ্রহ বিষয়েও খোঁজ খবর নেবো। সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানোর ব্যাপারেও কথা হবে। ’
বাংলাদেশ সময় ১৮.৪৫, সেপ্টেম্বর, ২০১০