শনিবার (০৬ জুন) বিকেলে উপজেলার জোকনালা কালিবাড়ী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বেলকুচি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরে আলম জানান, জোকনালা এলাকায় একটি পুকুরের দখল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সমর্থক ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ নিয়ে দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে সালিশী বৈঠকের আয়োজন করা হয়। আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বৈঠকে আসতে দেরি করায় সাজ্জাদুল হক রেজা ও তার গ্রুপের লোকজন চলে যান। পথে উভয়পক্ষ সামনাসামনি হলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় একটি মাইক্রোবাসসহ প্রায় ৭০/৮০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, বৈঠকে আসতে আমার একটু দেরি হওয়ায় সাজ্জাদুল হক রেজা ও তার লোকজন গালিগালাজ করতে করতে বৈঠক ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় আমিও সেখানে আসছিলাম। রাস্তায় সামনাসামনি দেখা হলে রেজা তার বাহিনী নিয়ে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ শুরু করে। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহম্মেদ গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ৭/৮ জন আহত হয়েছেন।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা অভিযোগ করে বলেন, সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসের লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে আমার ৮/১০ জন সমর্থক আহত হয়েছে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে একটি মাইক্রোবাস ও প্রায় ৮০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে গুলিবর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘন্টা, জুন ০৬, ২০২০
আরএ