এর ফলে সমাজে নানা ধরনের জটিল সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কর্মহীন মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে হতাশা।
রোববার (২১ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, করোনা মহামারি কেড়ে নিচ্ছে এই সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশের আনন্দ কোলাহল। মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ঘটেছে ছন্দপতন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন এখনও মৃত্যুর হার কম। তখন প্রশ্ন জাগে আমরা আর কত মৃত্যু ধারণ করব? মৃত্যুর সংখ্যা কত হলে মন্ত্রীর কাছে তা অস্বাভাবিক বলে মনে হবে?
নিত্যদিনের শোকবার্তায় জাতি উদ্বিগ্ন। এত মৃত্যু, এত সংক্রমণ তারপরও কি শাসকগোষ্ঠীর বোধোদয় হবে না?
নেতৃদ্বয় বলেন, অঞ্চলভিত্তিক বা জোনভিত্তিক লকডাউনের উদ্দেশ্য সফল করতে হলে সরকারকে আরো কঠিন হতে হবে। মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের খাবারের নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাদের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে। ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের নব্য ইস্ট ইন্ডিয়ার মত এনজিওদের কিস্তি উঠানো বন্ধ করতে হবে। বকেয়া বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির বিল প্রদানে বাড়িওয়ালাদের বাধ্য না করে আরো কমপক্ষে তিন মাস পর্যন্ত সময় বর্ধিত করতে হবে। অন্যথায় কথিত লকডাউন তো সফল হবেই না বরং সমাজে নানা ধরনের দুঘর্টনা ঘটবে, জনঅসন্তোষ সৃষ্টি হবে। যার ফল সরকারের জন্য খুব বেশি কল্যাণকর হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
এমএইচ/এমকেআর