রোববার (২৮ জুন) নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয় বাড়াতে স্বাস্থ্যবিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন গবেষণা ও গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত অনেক রোগী বাসাবাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
‘করোনা এমন সংক্রমণ যে কাছের মানুষও দূরে চলে যায়, মুহূর্তেই প্রিয়জন অচেনা হয়ে যায়। মা-বাবাকে সন্তান কিংবা স্বামীকে স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে চলে যাচ্ছে। আবার মৃত্যুর পর কেউ কাছে আসছে না। পুরোটা জীবন প্রিয়জনের জন্য নিবেদন করে শেষ বিদায় নিচ্ছেন প্রিয় মানুষের স্পর্শহীনতায়। ’
কাদের বলেন, সাধারণ রোগী ও উচ্চবিত্ত রোগীদের কোনো বাছ-বিচার নয়, সবাইকে সমান চেখে দেখে চিকিৎসা করুন। শেখ হাসিনা সরকার ভিআইপি কালচারে বিশ্বাসী নয়, সরকার এ সংকটে এমন চর্চাকে নিরুৎসাহিত করে।
মন্ত্রী বলেন, রোগীর মৃত্যুর ৩ ঘণ্টা পর মরদেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ নেই। এ রোগ অভিশাপ নয়, নিজেকে সুরক্ষিত রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে দাফন-কাফন করতে পারেন আপনজনেরা।
তিনি বলেন, বর্তমানে ৬৬টি ল্যাবে টেস্ট করোনা হচ্ছে। এ সুবিধা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালসহ সংশ্লিষ্টদের জনস্বার্থে পিসিআর ল্যাব স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসময় করোনার এই সংকটে দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দেওয়ায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
এসকে/এএ