ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির নেতৃত্বকে কবর দিতেই ২১ আগস্ট: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২০
বিএনপির নেতৃত্বকে কবর দিতেই ২১ আগস্ট: গয়েশ্বর সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নানের স্মরণসভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

ঢাকা: বিএনপির নেতৃত্বকে কবর দিতেই ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ২১ আগস্টের ঘটনা শেখ হাসিনাকে হত্যার বড় চক্রান্ত—এখানেই সীমাবদ্ধ ছিল না।

এই চক্রান্ত ছিল সেদিন জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বের কবর দেওয়া। এটা একটা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে বিএনপির ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। ওই ঘটনার প্রকৃত দোষীরা এখনো নিরাপদে বেঁচে আছে—ভালো আছে।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নানের স্মরণসভায় এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, এই যে রং অ্যাপ্লিকেশন পলিটিক্সে—মিথ্যা দিয়ে সত্যকে চাপা দেওয়া, দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে সামগ্রিক রাজনীতিকে দুর্ঘটনায় ফেলা। ২১ আগস্ট এরকম ঘটনা ১/১১ এর কোন রি-অ্যারেঞ্জমেন্ট হতে পারে। ১/১১-তে কে ভিকটিম হয়েছে? বিএনপি হয়েছে, খালেদা জিয়া হয়েছে। ১/১১-তে লাভবান হয়েছে কে? শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ। তাহলে ডাউট অব দ্য বেনিফিশিয়ারি যদি বলা হয়, ১/১১ এর মাধ্যমে বেনিফিট হয়েছে বিএনপির অতি মুখোমুখি প্রতিপক্ষের।

ক্ষমতায় থাকাকালে নিজ সরকারের ভুল-ভ্রান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মনের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সরকারে থাকতে ভুল-ভ্রান্তি আমাদের কিছু ছিল। যার খেসারত আজকে জনগণ দিচ্ছে, আজকে আমরা দিচ্ছি, খেসারত তারেক রহমান দিচ্ছেন, খেসারত খালেদা জিয়া দিচ্ছেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, যারা অপকর্ম করেছে তারা খেসারত দেয় নাই, তারা কিন্তু আমাদের আশে-পাশে আরো বলিয়ান হওয়ার চেষ্টা করছে। এটা (২১ আগস্টের ঘটনা) বাংলাদেশের ভাবনা থেকে হয় নাই, এই ভাবনার পরিকল্পনা অন্য কোথাও বাস করে। তবে এটাও ঠিক, এই গ্রেনেড হামলায় যারা সম্পৃক্ত তারা ভিকটিম হয় নাই, আসামি হয় নাই। এখানে আমাদেরও ব্যর্থতা আছে। আর সরকার সেই পারপাসটা ভালো করে আমাদের ওপরে চাপিয়ে দিতে পারছে। অর্থাৎ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে যদি চিন্তা করতেন, চেষ্টা করতেন— তিনি খুব ভালো করে জানেন যে ঘটনাটা কেন ঘটেছিল এবং কারা ঘটিয়েছিল। এতদিনে তার অজানা থাকার কথা নয়।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজউদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত নেতার একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার মেজনাজ মান্নান বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।