ঢাকা: হাওয়া ভবনের ছক অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারেনি বলেই বিএনপি একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিকহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই হামলা করা হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা দিবালোকের মতো সত্যকে বিকৃত করে বলছে, একুশে আগস্ট নাকি দুর্ঘটনা।
তিনি বলেন, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিল, যা ছিলে পনের আগস্টের হত্যাকাণ্ডেরই ধারাবাহিকতা। একুশে আগস্টের টার্গেট ছিল দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
শনিবার (২২ আগস্ট) রাজশাহী সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মুফতি হান্নানসহ অন্যান্যদের বক্তব্য এবং দালিলিক প্রমাণে বেরিয়ে এসেছে কারা এর পেছনে মদদ দিয়েছে, কারা বৈঠক করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে। এ হামলার মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবন, তাদের নির্দেশেই এই হামলা। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সবই জানতো। তারা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। মুছে দিতে চেয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খুনিদের নিখুঁত হত্যা পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় তারা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্ঘটনাই মনে করতে পারে। তদন্তে বাধা দেয়া, জজ মিয়া নাটক সাজানো, আলামত নষ্ট করাসহ পদে পদে বাধাদানের মাধ্যমে তাদের সংশ্লিস্টতার অকাট্য প্রমাণ জাতির কাছে আজ স্পষ্ট।
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রয়েছে; বাড়ছে না আবার কমছেও না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলক ভালো হলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। নিউজিল্যান্ড, স্পেনসহ ইউরোপের অনেক দেশে দ্বিতীয় ওয়েব শুরু হয়ে গেছে। যেকোন সময়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি কিংবা দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সে ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে, এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এমন ভেবে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা প্রদর্শন বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে তা স্বাস্থ্যবান্ধব করতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়। গাড়ির আসন সংখ্যা অর্ধেক খালি রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে ভাড়া সমম্বয় করা হয়। শুরুতে কিছু পরিবহন প্রতিশ্রুতি মেনে চললেও এখন অনেকেই মেনে চলছে না। আসন খালি না রাখলে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যাত্রী সাধারণ অতিরিক্ত ভাড়া কেন দেবে? এ প্রেক্ষাপটে বিআরটিএ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় করে কিছু সুপারিশ তৈরি করেছে। এসব সুপারিশ মন্ত্রণালয় হয়ে কেবিনেট ডিভিশনে পাঠানো হচ্ছে। কীভাবে বা কোন কোন শর্তে পূর্বের ভাড়ায় ফিরে যেতে হবে— এসব বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে আমরা তা সবাইকে অবহিত করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২০
এসকে/এমজেএফ