ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশনেত্রীর রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বার বার একটি জিনিস প্রমাণিত হবে সেটা হচ্ছে তার আপসহীন রাজনীতি। তিনি বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়ে কোনোদিন আপস করেননি।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে খালেদা জিয়ার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি খালেদা জিয়াকে যখন দ্বিতীয়বার কারা অন্তরীণ করা হয় আজকে থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে তখনো কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ একটি সত্যে বিশ্বাস করেছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হচ্ছেন আমাদের আপসহীন নেত্রী। দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কোনোদিন তিনি পিছপা হননি, সেজন্য তিনি কারাবরণ করতেও পিছপা হননি-এটাই সত্য।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এখনো দলে অনেক বেঈমান রয়ে গেছে যারা এ সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করছে। দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সুসংগঠিত করে আমরা আন্দোলনে যাবো। কর্তৃত্ববাদী সরকারকে আন্দোলন ছাড়া সরানো যাবে না, দলকে সুগঠিত করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা আশা করছি, সুগঠিত দলের মাধ্যমেই আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আনব।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ডিপ স্টেট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এটাকে সরকার বলা যায় না, এটাকে আমরা শাসন বলতে পারি।
তিনি বলেন, এই ডিপ স্টেটের বিরুদ্ধে আমাদের যদি জয়ী হতে, আমাদের ভিন্নভাবে চিন্তা করতে হবে। ডিপ স্টেটের বিরুদ্ধে কিছু কাজ আছে- এদের ইউ হেভ টু ব্ল্যাইম দেম এন্ড শেইম দেম এভরি ডে। তাদের কাজগুলো সারফেইসে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিনিয়ত দেশের ভেতরে দেশের বাইরে তাদের আমাদের পুরোপুরি এক্সপোজ করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২০
এমএইচ/আরএ