ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আইনমন্ত্রীর আইন সংশোধনের বক্তব্য ধাপ্পাবাজি: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
আইনমন্ত্রীর আইন সংশোধনের বক্তব্য ধাপ্পাবাজি: রিজভী

ঢাকা: আইনমন্ত্রীর আইন সংশোধনের বক্তব্য চরম ধাপ্পাবাজি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, দেশজুড়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠছে, সেই আন্দোলনকে প্রশমিত করার জন্যই নতুন আইন তৈরির উদ্যোগের কথা বলা হচ্ছে।

রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিদ্যমান যে যাবজ্জীবন সাজার বিধান আছে সেটি প্রয়োগ হয়নি কেন? কারণ বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় গুম, খুন, ধর্ষণ মহামারি রূপ ধারণ করেছে। তাই অপরাধীদের অধিকাংশই পায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। তাদের শাস্তি দেওয়া দূরের কথা, বরং রাষ্ট্রপতি মাধ্যমে ফাঁসির আসামিকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। ফলে অপরাধীরা যা খুশি তাই করার উৎসাহ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর খুনের আসামি লক্ষীপুরের তাহেরের ছেলে বিপ্লব এবং নাটোরের যুবদল নেতা গামা হত্যার আসামিসহ ৩০জন ফাঁসির আসামিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। গামা হত্যাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থাতেই রাষ্ট্রপতি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন, এক্ষেত্রে তাদের কোনো আবেদনই করতে হয়নি। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে মাদারীপুরের খুনের আসামি যুবলীগ নেতা আসলাম জেল থেকে বেরিয়ে আবারও খুন করেছে। এখন দেশে অনাচারের জন্য রাষ্ট্রপতি অনেকাংশেই দায়ী। তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক হতে পারেননি। তিনি আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীদেরই অভিভাবক বলেই মানুষ মনে করে।

রিজভী বলেন, আমি সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় হামলার ঘটনার পেছনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। গুম, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতনের যে মহামারি চলছে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতেই সরকারের এজেন্টরা দলের মহাসচিবের বাসভবনে এ হামলা চালিয়েছে।

আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মর্মে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমার স্বাক্ষর জাল করে একটি জালিয়াতচক্র চাঁদপুর জেলাধীন হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা ও সংযুক্ত দু’টি পৌরসভার বিএনপির কমিটি বাতিল করা হয়েছে বলে মিথ্যা, বানোয়াট ও সম্পূর্ণরূপে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি পত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে ওই কমিটিগুলো দলের মহাসচিব মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে-এর বাইরে আর নতুন কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।