নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি শিগগিরই পুনর্গঠন করা হবে। কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের তিনটি সহযোগী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। নতুন করে কমিটি দেওয়া হবে, এ নিয়েই অস্থিরতা তৈরি হয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে।
গত ৮ জানুয়ারি নাসিক নির্বাচনে নৌকার প্রচারণামূলক সভা চলাকালেই বিলুপ্তির খবর আসে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটির। ওই রাতেই মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের অভিযানের নামে মারধর, চাপ প্রয়োগ শুরু হয়। এরই মধ্যে গত ৯ জানুয়ারি আইভীর দায়ের করা মামলা মাথায় নিয়েই মারা যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি মিজানুর রহমান সুজন। এর মধ্যে নেতাকর্মীদের ওপর প্রশাসনের ও দলীয় চাপে শুরু হয় সাংগঠনিক অস্থিরতা। এমন অবস্থায় দলের নেতাকর্মীরা কিছুটা আশাহত হয়ে পড়েন।
এর মধ্যে নির্বাচনের দিন ১৬ জানুয়ারি বিকেলেই বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি। ১৮ জানুয়ারি বিলুপ্ত করা হয় মহানগর শ্রমিক লীগের কমিটি। কমিটি বিলুপ্তির পর অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যান দীর্ঘদিন রাজপথে কাজ করা নেতাকর্মীরা। শঙ্কা ও বহিষ্কারের গুজবে তারা রাজনীতির মাঠে নীরব অবস্থানে চলে গেছেন।
ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ইতোমধ্যে গণমাধ্যমকে বলেছেন, নাসিক নির্বাচন নিয়ে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। এসব অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য একটি নতুন বিষয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগও পুনর্গঠন করা হবে। দলের নানা বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি, কমিটিগুলো নিয়েও চিন্তা-ভাবনা চলছে। এগুলো দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আগামী সভায় উত্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের ওপর দলের যে দায়িত্ব ছিল, আমরা তা পালন করতে চেষ্টা করেছি। আমরা বিগত সময়েও দলীয় সব নির্দেশনা ও কর্মসূচি পালন করেছি সবাইকে নিয়ে। দল কেন্দ্রীয়ভাবে যা ভালো মনে করবে তাই করবে। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো অস্থিরতা নেই। নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। তার সব সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
এমআরপি/এমজেএফ