ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মুফতি রেজাউল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২২
কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মুফতি রেজাউল

ঢাকা: ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।  

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫১তম বর্ষে এসেও আজকের সরকার ৭১ পূর্ববর্তী সরকারের মতো নিপীড়নমূলক আচরণ করছে।

দেশের সাধারণ নাগরিকদের কোনো অধিকার ও সম্মান নেই। সব অধিকার ভোগ করছে ক্ষমতাসীন এবং তাদের দোসররা। অথচ স্বাধীনতা উত্তর দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল স্বাধীন দেশে তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। স্বাধীন নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাবে, সম্মান পাবে। বাক স্বাধীনতা পাবে, ন্যায়বিচার পাবে। জান-মাল, ইজ্জত ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। অর্থনৈতিক সাম্য ও রুটি-রুজির নিশ্চয়তা পাবে। একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পাবে।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ মতিউর রহমান পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি রেজাউল বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী যারাই ক্ষমতায় এসেছে, সবাই জনগণের স্বপ্নকে গলা টিপে হত্যা করেছে। সবাই জনগণের সঙ্গে অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। গণমানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশ শাসনের নামে জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। জনগণের সব মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। গণতন্ত্রের নামে সর্বত্র দলীয়করণ এবং স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। গুম ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। দুর্নীতি, লুটপাট এবং সুদ ও ঘুষকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। শাসক শ্রেণির এহেন কর্মকাণ্ডের ফলে স্বাধীনতা আজ অর্থহীন হয়ে পড়েছে। গোটা সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। জনতাকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি দেশে এক ধরনের দুর্ভিক্ষ জন্ম দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধা পেটে ঘুমাতে যাচ্ছে। খাবারের জন্য টিসিবির ট্রাকের পেছনে মানুষ দৌড়াচ্ছে। জাতিকে নেশাগ্রস্ত করে স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা চলছে। দেশ আর এভাবে চলতে পারে না।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা-সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার সংকোচন বন্ধ, ইসলাম, দেশ ও মানবতাবিরোধী মদের বিধিমালা বাতিল, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য-সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন- দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহম্মেদ, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা হাফেজ নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, উপদেষ্টা মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, ড. বেলাল নুর আজিজ, ডা. মুহাম্মদ আক্কাস আলী, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আব্দুল কাদের, হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কে এম আতিকুর রহমান, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল করীম আকরাম। মহাসমাবেশ পরিচালনা করেন প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, শিক্ষা ও সংষ্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।