ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

জাতির ভাগ্যে কী আছে জানি না: নুর 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
জাতির ভাগ্যে কী আছে জানি না: নুর  ফাইল ছবি

ঢাকা: জাতির ভাগ্যে কী আছে জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।  

শনিবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

 

শফিউল আলম প্রধানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শোক হোক শক্তি, গণতন্ত্র পাক মুক্তি' শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা।

সভায় নুরুল হক নুর বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে যারা কবর দিতে চেয়েছে, জনগণের ভোটাধিকার যারা কেড়ে নিয়েছে, বিদেশে অর্থ পাচার যারা করেছে, তাদের বিচার হবেই হবে। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, চিন্তা করেন একটা জাতির ভাগ্যে কী আছে। ন্যূনতম শিষ্টাচার এই দলের (আওয়ামী লীগ) নেতাকর্মীদের মধ্যে নেই। থাকবে কী করে একটা দলের প্রধান তিনি তো মাস্তানদের ভাষায় কথা বলেন।

সভায় জাগপা সভাপতি তাসমিয়া প্রধান বলেন, আমার জন্য আজকের দিনটি খুবই আবেগপ্রবণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে শফিউল আলম প্রধানের অভাবটা খুব অনুভূত হচ্ছে। যখন দেখি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতিবাজ সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিচ্ছে, গুম, ধর্ষণ, লুটপাট তখন শফিউল আলম প্রধানের কথা খুব মনে পড়ে। আশা হারাই না। কারণ, শফিউল আলম প্রধান চলে গেছেন। কিন্তু, তার আদর্শ রেখে গেছেন।  

তিনি বলেন, শফিউল আলম প্রধান ৩৭ বার জীবনে কারারুদ্ধ হয়েছেন। তিনি কোনোদিন ক্ষমতার রাজনীতি করেননি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন।  

জাগপা সভাপতি তাসমিয়া আরও বলেন, আমরা যদি দেশের মানুষের কথা ভাবি, যেমন- তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের যে কষ্ট তা কমাতে হবে। আমি কী পাবো, সেটা না ভেবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগুলোর প্রতিবাদ করলে এই সরকারের পতন ঘটবেই।

তাসমিয়া প্রধান বলেন, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল। ফিলিস্তিনের মানুষ, কাশ্মীরের মানুষ অনেক অত্যাচার সহ্য করছে। শ্রীলঙ্কার মানুষ আজকে রুখে দাঁড়িয়েছি। তাহলে আমরা কেন পারবো না?

বাংলাদেশ এখন দুর্নীতি, ধর্ষণ, লুটপাট, গুম-খুন ও অপ-রাজনীতির রোল মডেল মন্তব্য করে তাসমিয়া প্রধান বলেন, জাগপার প্রতিটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে জালিম সরকারের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকবে। এই সরকারের পতন হবে, একটি সুষ্ঠ অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠ রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে পারবো, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারবো। বিজয়ের পথে যাত্রা শুরু, জীবন অথবা মৃত্যু।

তিনি বলেন, আমার বাবাও রাজনীতি করেছেন। এই যে রেজা কিবরিয়া সাহেবকে ‘রাজাকারের পুত্র’ বলা, খালেদা জিয়াকে ‘পানিতে চুবানো’, ‘দেখে নেব’- এই ধরনের অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতি তো আমরা কখনো দেখিনি।  

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি আবদুল হানিফসহ জাগপার নেতাকর্মীরা।


বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
এমএমআই/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।