ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

আ.লীগ দেশকে হায় হায় কোম্পানিতে পরিণত করেছে: মির্জা আব্বাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২২
আ.লীগ দেশকে হায় হায় কোম্পানিতে পরিণত করেছে: মির্জা আব্বাস

সিলেট: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেসামাল লুটপাট করে দেশকে হায় হায় কোম্পানিতে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। তাদের লুটপাটের কারণে দেশের মধ্যম আয়ের মানুষ নিম্ন আয়ের হয়ে গেছেন।

এই দেশ একদিন এভাবেই শেষ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজেলের জন্য অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। ৩৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন না করলেও তাদেরকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ৩৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে এই লুটপাট না হলে আজ বানভাসি মানুষকে পুনর্বাসন করা যেত। দেশে ডিজেল নেই, বিদ্যুৎ নেই। শুধু নেই, আর নেই। দেশে আজ কিছুই নেই।

সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নগরের দক্ষিণ সুরমায় বন্যা দুর্গতদের ফ্রি-মেডিক্যাল ক্যাম্প, বিনামূল্যে ওষুধ এবং দরিদ্রদের মধ্যে কাপড় বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) যৌথ উদ্যোগে এবং সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই আয়োজন করা হয়।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, বহুদিন আগে আমরা হায় হায় কোম্পানির নাম শুনেছিলাম। যারা মানুষের টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যেত। আজ দেশের অবস্থা হায় হায় কোম্পানির মতো হয়েছে। দেশের কোথাও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক নেই। আওয়ামী লীগ কুইক রেন্টালের নামে দলীয় লোকদের ধনী করতে দেশের টাকা লুটপাট করেছে।

 

তিনি বলেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পুরো সিলেট জুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে ছিলেন। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী চিকিৎসার জন্য আসেনি। সিলেটের কৃতিসন্তান ডা. জোবায়দা রহমান দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। এজন্য সুদূর লন্ডনে থেকেও বারবার নিজ এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বন্যার সময় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। এখন বন্যা পরবর্তী সময়েও মানুষদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।


তিনি আরও বলেন, এই দেশ ৩০ লাখ শহীদের তাজা রক্তের অর্জন। দেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আবারো বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত আছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান বলেন, ইলিয়াস আলীকে গুম করে রাখার কারণ হচ্ছে, তিনি জনগণের হয়ে কথা বলতেন। তারা (আওয়ামী লীগ) দেশে বাকশাল কায়েম করে মানুষের বাক-স্বাধীনতা হরণ করেছিল। রাতের আঁধারে বিরোধী দলের ৪৫ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। তাদের পাতানো নির্বাচনে কেউ যায়নি। আওয়ামী লীগের স্টাইলে নির্বাচনে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা ড্যাবের সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম।

ড্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে জেডআরএফের মনিটর ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম ও সদস্য ড. খায়রুল ইসলাম রুবেলের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ড্যাবের মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- ড্যাবের সহ-সভাপতি ও ফ্রি-মেডিক্যাল ক্যাম্প উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগরের সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, জেডআরএফের সিলেট বিভাগের মনিটর প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি তা. এমএ সেলিম, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান, যুগ্ম মহাসচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকান, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ওসমানী মেডিক্যাল ড্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, জেডআরএফের মনিটর প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ প্রমুখ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ জিকে গউছ ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী।

ফ্রি-মেডিক্যাল ক্যাম্পে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অর্ধশতাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিনব্যাপী রোগীদের বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র ও বিনামূল্যে ওষুধ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২২
এনইউ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ