ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জনগণ জেগেছে, সরকারের পতন অনিবার্য: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২২
জনগণ জেগেছে, সরকারের পতন অনিবার্য: মির্জা ফখরুল ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজপথে জনগণের যে ঢেউ উঠবে সেই ঢেউয়ের সুনামিতে এই ফ্যাসিবাদী দানবীয় আওয়ামী সরকার ভেসে চলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

পেশাজীবীদের সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা দেশের জন্য। বিএনপির জন্য নয়, তারেক রহমান সাহেবের জন্য নয়, আমার জন্য নয়। এই দেশকে বাঁচানোর জন্য। আজকে আমার জাতি বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমার দেশের যে গণতান্ত্রিক আত্মা, সেই আত্মাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে রাজপথ দখল করে এদেরকে সরাতে হবে। দেশকে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। আজকে জনগণ জেগে উঠেছে। এই সরকারের পতন অনিবার্য।
 
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি আমাদের দাবি খুব সামান্য। দাবিগুলো হলো- দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ মানুষের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, এই সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বাতিল করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সেই কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য ও দাবি। আসুন সেই দাবিতে আমরা সবাই এগিয়ে যাই।
 
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, শত নাগরিকের আহ্বায়ক ঢাবির সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, ড্যাব নেতা অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আবদুস কুদ্দুস, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাবির শিক্ষক অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম, কৃষিবিদ অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব তৌহিদুল ইসলাম, ইউনানী আয়ুর্বেদীয় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ডা. মির্জা লিটন, জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভানেত্রী জাহানারা খাতুন, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন, ফিজিওথেরাপী অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব তানভীরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২২
এমএইচ/এসএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad