ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সমস্যার সমাধান দেখছি না: মেনন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সমস্যার সমাধান দেখছি না: মেনন

ঢাকা: বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ভারত থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘুরে এলেন। কিন্তু মূল সমস্যাগুলোর কোনো আশাবাদী সমাধান দেখছি না।

তিস্তার সমস্যা ঝুলে রইলো, একইভাবে কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহারের অনুমতি নিলাম, এখন আনন্দ হচ্ছে যে কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহার করতে পারবো? কিন্তু মেঘনা বেসিনে গিয়ে এটা কতখানি সংকট সৃষ্টি করবে কী করবে না তা নিয়ে কোনো সমীক্ষায় কিন্তু আমরা যাইনি।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজনে ‘চীন বিপ্লবের মহানায়ক মাও জে দং-এর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেনন বলেন, আমাদের জন্য অনেক বড় প্রশ্ন এসে দাঁড়িয়েছে নদী নিয়ে। গঙ্গা চুক্তি ২০২৬ সালে শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সংযোগ স্থল দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো যৌথ সমীক্ষার কুল করতে পারিনি। এ সমস্ত জায়গা থেকে যদি বিচার করি তাহলে আমাদের ওই তত্ত্বে ফিরে যেতে হবে যেখানে আমরা জাতীয় কর্তব্য ও গণতান্ত্রিক কর্তব্য সম্পন্ন করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে আমরা কী বুঝি? এটা শুধু পতাকা বদল বা মানচিত্র বদল নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ও মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপার জড়িত। আর এগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কৃষক, কৃষি ও শ্রমিকের ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়ে এগোতে হবে। বলা হচ্ছে সারের সংগ্রহ আছে কিন্তু বাস্তবে দেখছি সারের সংকট হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সংকটে আছে কৃষক। আর কৃষককে বাদ দিয়ে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্ভব হবে এটা ভুল কথা।

মন্ত্রিদের সমালোচনা করে মেনন বলেন, তাদের কাছে যদি জিজ্ঞেস করি তাহলে বলবে ১৯ লাখ টন খাদ্য আছে। যদি কৃষিমন্ত্রীর কথা বলেন, তিনি বলবেন গুদামে পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে। কিন্তু মাঠে যখন যান, দেখবেন আমাদের কৃষক সে সার পাচ্ছে না। সে কারণে খরায় জমি শুকিয়ে যাচ্ছে, ফেটে চৌচির হয়ে গেছে সেখানে। তারা পরিমাণ মতো সার পাচ্ছে না।

একইভাবে খাদ্যের যোগানের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে সংকট। যেখানে টিসিবির মতে মোটা চালের কেজি ৬০ টাকা। এ হচ্ছে সমাজের আসল চিত্র। এটা যদি সমাধান করতে না পারি তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন অথবা আমেরিকাকে গালি দিয়ে অথবা তাদের যুদ্ধ কেন শেষ হচ্ছে না এর অপেক্ষা করে লাভ হবে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ শামশির, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মতাদর্শ ও প্রশিক্ষণ বিভাগে প্রধান ড. সুশান্ত দাস, ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য কামরুল আহসান, সমাজ গবেষক শামসুল হুদা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad