ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ফরিদপুরে ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীর নামে মামলা, গ্রেফতার ৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
ফরিদপুরে ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীর নামে মামলা, গ্রেফতার ৪ গ্রেফতাররা।

ফরিদপুর: ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।  


সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবি এম ফয়সাল বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।  

এর আগে রোববার দিনগত সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের (রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদ) রুকসু ভবনে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

মামলায় শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক শেখ তামীম আফনানসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়।  

এ মামলায় পুলিশ রোববার দিনগত রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমান মিজান, শেখ তামীম আফনান, মাহামুদুল হাসান সাব্বির ও মোস্তাফিজুর রহমান আওরঙ্গকে আটক করেছে। আটকদের সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের রুকসু ভবনে জেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে রুকসু ভবনে ঢোকে। এসময় তারা সেখানে লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কয়েকজনকে পেটাতে থাকে। হামলায় মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয় বাপ্পি ও ফয়সাল নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মী। এছাড়া আহত হন আরও ৬ জন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বার বার চেষ্টা করেও মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।  

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ বলেন, এটা একটা তুচ্ছ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। নিজেদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে যা পরবর্তীতে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, এ ঘটনায় জেলা ও শহর ছাত্রলীগের ১৬ জনের নামে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।