ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

প্রত্যেক নির্যাতনের রেকর্ড আমাদের কাছে আছে: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
প্রত্যেক নির্যাতনের রেকর্ড আমাদের কাছে আছে: রিজভী

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমরা কি ওই সমস্ত কাপুরুষের মার খাব, যারা নারীদের ওপর হামলা করে। প্রতিটা আঘাতের আমরা প্রত্যুত্তর দেব।

সেই প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। আপনারা কেউই রেহাই পাবেন না। আপনাদের প্রতিটা ভিডিও-ছবি আমাদের কাছে আছে। প্রত্যেকটাই আমাদের রেকর্ডে আছে। প্রত্যেকটার জবাব আপনারা পাবেন।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্দ্যোগে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ওরা (আওয়ামী লীগ) মনে করেছে বিএনপি গান্ধীবাদে বিশ্বাস করে। বিএনপি গান্ধীবাদে বিশ্বাস করে না। আমরা শান্তি চাই, আমরা গণতন্ত্রকামি। যত রক্ত ঝরেছে, তার একটি কণাও বাদ যাবে না। প্রতিটি রক্তকণার জবাব আমরা আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে বুঝিয়ে দেব।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন টেক ব্যাক বাংলাদেশ, এর অর্থ হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরে আসা, কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে আসা। যেখানে গুম, খুন ও ক্রসফায়ার থাকবে না। আমরা সেই শান্তির বাংলাদেশের জন্য সংগ্রাম করছি।

রিজভী বলেন, আমাদের মহাসচিবের একটা বক্তব্য নিয়ে কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির নেতাদের নামে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করা উচিত। পাকিস্তান আমলে ৬০এর দশকে তো আমরা গুম, খুন, ক্রসফায়ারের কথা শুনিনি। এই আওয়ামী লীগের আমলে শুনছি। তবে পাকিস্তান আমলের একটা বিষয়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলের মিল আছে, সেটা হলো ইয়াহিয়া-টিক্কা খানের একাত্তরের আমল। তখন আমরা নারী নির্যাতনের কথা শুনেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর শুনেছি। সেই টিক্কা খানের আমল আর বর্তমান হাসিনার আমলের সঙ্গে মিল খুঁজে পাই।

তিনি বলেন, ৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী নারীর সম্ভ্রমহানি করেছে। বাংলার সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। আজ আওয়ামী বাহিনী কী করছে? গুম-খুনে দেশটা ভরিয়ে দিয়েছে। ৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী যা করেছে বর্তমান শেখ হাসিনার বাহিনী তাই করছে।

রিজভী বলেন, অনেক লড়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী দল হচ্ছে বিএনপি। এরশাদের বিরুদ্ধে নয় বছর সংগ্রাম করে লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে বিএনপি। সেই লড়াইয়ের পতাকা বিএনপি বহন করছে। সেই লড়াই থেকে আমাদেরকেও বিচ্যুত করতে পারবেন না। আমাদের লড়াই আদর্শের জন্য। আমাদের প্রিয় নেত্রী গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া মানুষকে যে কথা দেন, সেই কথা রাখেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব যথাক্রমে রফিকুল আলম মজনু এবং আমিনুল হকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ লিটন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।