ঢাকা: বিদু্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার (অব.) এনামুল হক বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে সরকার। এ প্রযুক্তিকে যুগোপযোগী এবং সাশ্রয়ী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আরও গবেষণার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনব্যাপী ষষ্ঠ পাওয়ার বাংলাদেশ-২০১১ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক বলেন, ‘সরকার ২০২০ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার দ্রুততার সঙ্গে কাক্সিক্ষত লক্ষে পৌঁছে যাচ্ছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫ শতাংশ এবং ২০২০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের জনসংখ্যার মোট ৩০ শতাংশ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। সে বিষয়ে মাথায় রেখেই অগ্রসর হতে হবে। ’
এ সময় তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহজলভ্য করতে পণ্যের দাম কমানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রদর্শনী থেকে সংশ্লিষ্টরা সকলে উপকৃত হবেন এবং গবেষক, বিক্রেতা, এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আয়োজক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট এবং গ্রুপ এমডি মেহেরুন এন ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আফতাব উল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন, দেশের এনার্জি সেক্টরের উন্নয়নের বৃহৎ অংশীদার দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লি. এর পরিচালক রেজওয়ানুল কবীর, রহিম আফরোজ এনার্জি সার্ভিসেস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার মেজবাহ মঈন, প্রাইস ক্লাব জেনারেল ট্রেডিং লি. চেয়ারম্যান ইমদাদ হক, বাংলা ট্রাক লি. সিইও নাজমুল হক প্রমুখ।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লি. এর পরিচালক রেজওয়ানুল কবীর বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন সাধন করতে হলে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই।
দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোর প্রায় ৬০ হতে ৭০ শতাংশ নির্মাণে এনার্জিপ্যাক গর্বিত অংশীদার।
এছাড়া ক্যাপটিভ মাকের্টেও আমাদের অবস্থান সবার উপরে। এনার্জিপ্যাক দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, সৌর বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান সেমস গ্লোবাল।
১৩ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৮টি দেশের ১১২ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শিল্প উদ্যোক্তা, আমদানিকারক, ও সরবরাহকারীদের মধ্যে নতুন একটি সম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন মেহেরুন এন ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১১