মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) মধ্যাহ্ন বিরতির পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনের অডিটোরিয়ামে বিদ্যুতের মূল্যহার পরিবর্তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিতে এই প্রস্তাব করা হয়।
গণশুনানিতে জুরি বোর্ডের দ্বায়িত্ব পালন করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম।
ওজোপাডিকো প্রস্তাবে বলে, বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধি করা হলে, খুচরা মূল্য হারও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পাইকারি মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খুচরা মূল্য বৃদ্ধি না করা হলে কোম্পানি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ওজোপাডিকো তাদের প্রস্তাবে আরো উল্লেখ করে, ২০২০ সালে তাদের বিদ্যুৎ বিতরণ চাহিদা ৫ হাজার ৮২ মিলিয়ন টাকা এবং ৩ হাজার ৬১৮ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রয় বিবেচনায় বিতরণ ব্যয় হবে ১.৪০ টাকা (কি.ও.ঘ.)। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় ইউনিট প্রতি নির্ধারণ করা হয়েছিল ১.২২ টাকা। ২০১৮-১৯ সময়ে তাদের বিতরণ ব্যয় হয়েছে ১.২৯ টাকা।
অপরদিকে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ রিটার্ন বিবেচনায় ২০২০ সময়ে ওজোপাডিকো’র নিট বিতরণ ব্যয় ইউনিট প্রতি ১.০৭ টাকার প্রস্তাব করেছে। বিদ্যমান পাইকারি, সঞ্চালন এবং খুচরা মূল্য হারে ওজোপাডিকোর কোনো রাজস্ব ঘাটতি নেই। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওজোপাডিকোর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ছিল ৫.৬১ টাকা।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে জেরা পর্বে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) উপদেষ্টা জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিকিউরিটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহানুর সরকার, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন সংঘটনের প্রতিনিধিরা।
এর আগের দিনের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডও বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বাড়ানো হলে খুচরা মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
আরকেআর/জেডএস