দিনাজপুর: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আবার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে খনি কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যেই পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কথা হলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। উৎপাদন শুরুর প্রথম দিন ২৪ ঘণ্টায় ৭৫০ মেট্রিক টন এবং পরের দিন ৯৫০ মেট্রিন টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই পুরোপুরি উত্তোলন শুরু করবে কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন ২০০০ থেকে ২২০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
খনি সূত্রে জানা গেছে, মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩১০ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফেইজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় এবং পরিত্যক্ত ফেইজের ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও নতুন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসিয়ে ১৩০৬ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। নতুন ফেইজ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন করে কয়লা উত্তোলন করে আড়াই মাস পর চলতি আগস্ট মাসের মাঝামাঝি কয়লা উত্তোলনের সময়ও নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে জাতীয় সংকট মোকাবিলা করার জন্য জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় দ্রুত নতুন ফেইজের উন্নয়ন কাজ শেষ করা হয়।
পরে ২৭ জুলাই সকাল থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করে কর্তৃপক্ষ। চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু খনিতে কর্মরতদের পরীক্ষা করে দেখা যায়, ৫২ জন চীনা ও বাংলাদেশি শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ফলে ৩০ জুলাই সকাল থেকে আবার কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
এসআই