
ঢাকা: লেখক, সাংবাদিক কিংবা বুদ্ধিজীবী। সবার দেখা মিলল একসঙ্গে। কেউ এলেন পুরনো পাঠক হয়ে। কেউবা লেখক। অনেকে এলেন শুভেচ্ছা জানাতে। সম্মিলিত সমাগমে পুরো পরিবেশ হয়ে উঠলো আনন্দমুখর।
সাপ্তাহিক একতার ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুক্রবার এভাবেই সম্মিলন ঘটেছিল পত্রিকাটির পুরনো মানুষদের।
রাজধানীর মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বিকেল ৩টা থেকেই জমায়েত হতে থাকেন একতা পরিবারের সদস্যরা।
মুহূর্মুহূ করতালির মধ্যদিয়ে কেক কেটে ও মঙ্গলপ্রদ্বীপ জ্বেলে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন দার্শনিক ও বুদ্ধিজীবী সরদার ফজলুল করিম।
অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশের সাবলীল উপস্থাপনায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর চলতে থাকে অতিথিদের স্মৃতিচারণ, কথামালা, গান প্রভৃতি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাপ্তাহিক একতাকে নিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পগোষ্ঠী। ‘একতার পথচলা/মানুষের কথা বলা’ গানটি উপস্থিত অতিথিদের মন ভরিয়ে দেয়। এরপর একে একে স্মৃতিচারণ করেন অনেকেই।
সরদার ফজলুল করিম বলেন, ‘সেই কবেকার কথা। একতা বেরিয়েছিল। এখনও বেরোচ্ছে। মনে পড়ে, সবাই একসঙ্গে বুদ্ধি-পরামর্শ করতো। তারপর লিখতে বসতো।’
তিনি বলেন, ‘পত্রিকাটির শুরুর দিককার অনেকেই আজ নেই। যারা আছেন, তাদের কেউ দেশসেরা সাংবাদিক। অনেকে সম্পাদকও হয়েছেন। ভাবতেই অন্যরকম অনুভূতি জাগে।’
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘একতা সমাজের দর্পণ। কেবল সংবাদ প্রকাশই নয়, লেখনির মাধ্যমে একতা দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘একসময় ঢাকার লক্ষ্মীবাজার থেকে বের হতো একতা। অনেক কাঠ-খড় পুড়াতে হয়েছে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে কখন যে পত্রিকাটির বয়স ৪০ হয়ে গেছে টেরই পাইনি!’
তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখী মানুষের কথা বলার জন্যই একতার জন্ম হয়েছিল। এখনও সে ধারা ধরে রেখেছে এটি।’
অনুষ্ঠান আলোকিত করা আরও অতিথির মধ্যে ছিলেন সিপিবির সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান, লেখক-সাংবাদিক ও শাহরিয়ার কবির, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, প্রকাশিতব্য দৈনিক অধিনায়কের সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, অধ্যাপক অজয় রায়, বিভূরঞ্জন সরকার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহ আলমগীর, কলামিস্ট অজয় রায়, শামসুজ্জামান সেলিম, রহমান মুস্তাফিজ প্রমুখ।
পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক শাহীন রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি পত্রিকাটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। একতা সব সময় মানুষের কথা বলে। তাই এটি সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক হবে- এমন ম্বপ্ন দেখছেন অনেকেই।’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর, ২০১০