ঢাকা: বাংলাদেশের সব জাতিগোষ্ঠি, সব ভাষা ও সংস্কৃতির আদিবাসীদের সমান অধিকার দিয়ে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করেছেন আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক রাশেদ খান মেনন।
এজন্য সুনির্দিষ্ট বিধান করে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ারও প্রস্তাব করেন তিনি।
রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় জাতীয় প্রেসকাবে ‘আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব উপস্থাপন’ শীর্ষক সাংবাদিক সম্মেলনের মূল বক্তব্যে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করেন রাশেদ খান মেনন।
গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) যৌথ উদ্যোগ এবং আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংসদে গৃহীত ‘ুদ্র নৃগোষ্ঠি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০’ এ মাত্র ২৭টি নৃগোষ্ঠি সংযুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে মেনন বলেন, ‘এর ফলে তালিকাভূক্ত নয় এমন আদিবাসী গোষ্ঠির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা চাকরির আবেদন করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন।’
এ সমস্যা সমাধানে সকল জাতিসত্ত্বার নাম অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব করেন তিনি।
বর্তমান সংবিধানে ধর্মীয় বৈচিত্র্যের প্রতিফলন আছে কিন্তু জাতিবৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতিফলন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতি বৈচিত্র্যসহ সব বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি সংবিধানে থাকা দরকার।’
সাংবাদিক সম্মেলনে সংবিধান সংশোধনে বহু জাতি, বহু সংস্কৃতি ও বহু ভাষার বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করা, রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির ভাষার পরিপোষণ ও উন্নয়নে রাষ্ট্র যেন সমভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে সেজন্য ১১টি প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।
আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের টেকনিক্যাল কমিটির সমন্বয়ক প্রফেসর মেসবাহ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, ভূমি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আকম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১০