ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

শাহজিবাজার ও চার ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৪
শাহজিবাজার ও চার ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি

ঢাকা: মূল্যসংবেদশীল তথ্য প্রকাশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন লঙ্ঘন করেছে সদ্য পুঁজিবাজারে আসা শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।

এজন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়‍ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট থাকায় চার ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়‍ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

বৃহস্পতিবার কমিশনের ৫২৭তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেলে কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহজিবাজার পাওয়‍ার কোম্পানি লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড’র বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর তথ্য শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়া মাত্রই মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে প্রকাশ করা উচিৎ ছিল। কিন্তু কোম্পানি এটি করেনি।

ফলে শাহজিবাজার পাওয়ার ২০০০ সালের ১৯ ডিসেম্বর জারি করা সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ১৯৯৫-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (২) এর অধীন কমিশনের নোটিফিকেশন (নং- এসইসি/এসআরএমআইডি/২০০০-৯৮৫/২২৪৮/প্র-০২/১) ভঙ্গ করেছে। এজন্য শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি এনফোর্সমেন্ট বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
 
শাহজিবার পাওয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির তদন্ত প্রতিবেদন কমিশন সভায় পর্যালোচনা করা হয়েছে। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদনে পিএফআই সিকিউরিটিজ, সার্প সিকিউরিটিজ, গ্লাক্সি ক্যাপিটাল এবং মোনা ফিন্যান্সিয়াল কনসানটেল্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়‍া গেছে। এজন্য ব্রোকারগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রতিবেদনটি কমিশনের এনফোর্সমেন্ট বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
 
ব্রোকারগুলোর মধ্যে পিএফআই সিকিউরিটিজ গ্রাহকের হিসাবে শাহজিবাজ‍ার পাওয়ারের শেয়ার সংখ্যা ১০ হাজার কম দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে ব্রোকারটি দ্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯’র ১৮ ধারা, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুল ১৯৮৭’র রুল ৮(১) (এ) এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০’র আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে।
 
সার্প সিকিউরিটিজ একজন পরিচালককে শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার ক্রয়ে মার্জিন ঋণ দিয়েছে। এর মাধ্যমে সার্প সিকিউরিটিজ ২০১০ সালের ২২ জুলাই দেওয়া কমিশনের নির্দেশনা (এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০১-৪৩/৫১) লঙ্ঘন করেছে।
 
আর গ্লাক্সি ক্যাপিটাল ও মোনা ফিন্যান্সিয়াল কনসানটেল্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড তাদের গ্রাহকদের শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার ক্রয়ে সেম স্ক্রিপ্ট নিটিং সুবিধা দিয়ে ২০০৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বিএসইসি’র দেওয়া পত্রের (নং-এসইসি/এসআরএমআইডি/৯৪-২৩১/৪৭২) নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।