দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭ জানুয়ারি। মন্ত্রিপরিষদের তালিকাও ঘোষণা করা হয়েছে।
নতুন মন্ত্রীদের শপথের সঙ্গেই জাহিদ আহসান রাসেলের মন্ত্রীত্বের সমাপ্তি ঘটবে। মন্ত্রীত্বের শেষ দিনও ক্রীড়াঙ্গনে এসেছেন জাহিদ আহসান রাসেল। বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া কল্যাণসেবী ট্রাস্টের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার কমিটির সভা করেছেন। এই দুই কর্মসূচির মাঝে গণমাধ্যমে নিজের পাঁচ বছরের কর্মসূচি তুলে ধরেন তিনি।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নতুন যেই আসুক তাকে সহায়তা করার আশাবাদ ব্যক্ত করে রাসেল বলেন, ‘ক্রীড়া আমার প্রাণ। মন্ত্রণালয়ে যিনিই আসুক আমার সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই আমি দেব। তিনি যদি নাও চান, আমি যেচে গিয়েও দেব। ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন আমার প্রত্যাশা। ’
২০১৯ সালে জাহিদ আহসান রাসেল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব নেন। সেই বছর বাংলাদেশ সাফ গেমসে সর্বোচ্চ স্বর্ণপদক অর্জন করে। পরের বছর শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। এরপরই করোনা ভাইরাসে অবরুদ্ধ ক্রীড়াঙ্গন। সেই সময় না থাকলে আরো একটু এগিয়ে যেতে পারতেন বলে ধারণা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক দিন খেলাধুলা স্থগিত ছিল। অনেক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়া যেত। সেই সময়ের জন্য কাজগুলো পিছিয়ে গেছে। ’
গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক ঘটনাই ঘটেছেন। শত ঘটনার মধ্যে জাহিদ আহসান রাসেলের কাছে সবচেয়ে স্মরণীয় সাবিনাদের ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনার দিনটি, ‘সাফ ফুটবলে সাবিনারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারা ছাদখোলা বাস চেয়েছিল। সেটা এক দিনের মধ্যে তৈরি করে তাদের রাজসিক সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। এই সাফল্যের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা এবং দেশের সবার মধ্যে আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। এই দিনটি আমার কাছে বিশেষ স্মরণীয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
এআর/এএইচএস