প্রিমিয়ার হকি লিগের দলবদল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি। চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
২৬ মাস আগে হওয়া সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীতে খেলা জাতীয় দলের স্ট্রাইকার পুষ্কর খীসা মিমো আজ প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টোকেন তুলেছেন। হকি ফেডারেশনে তার হাতে টোকেন তুলে দেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ। সঙ্গে ছিলেন আবাহনীর হকি কর্মকর্তা জাকি আহমেদ।
পুষ্করের পর টোকেন তুলেছেন জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড আরশাদ হোসেন ও জাতীয় দলের বাইরে থাকা গোলকিপার অসীম গোপ। অসীম সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারেননি। গতবার নিয়ম ছিল এক ক্লাবে সার্ভিসেস দলের সর্বোচ্চ ৫ জন খেলতে পারবেন এবং সেটা গোলকিপারসহ। মোহামেডানে ষষ্ঠ সার্ভিসেস খেলোয়াড় হয়ে যান অসীম। অগত্যা অসীম প্রথম বিভাগে উষায় খেলেছেন। গতবার আরশাদ ছিলেন আবাহনীতে।
আরশাদ ও অসীমের টোকেন তোলার সময় আজ তাদের পাশে ছিলেন উষা ক্রীড়া চক্রের ক্রীড়া সম্পাদক জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার রফিকুল ইসলাম ও ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ।
অন্যদিকে আর্থিক সংকটের কারণে মেরিনার্সের অংশগ্রহন অনিশ্চিতায় রয়েছে। মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ খান রানা দলবদলের পেছানোর কারণ সম্পর্কে বলেন, 'আর্থিক সঙ্কটের জন্য আমরা দলবদল পেছানোর অনুরোধ করেছি ফেডারেশনের কাছে। কিছু সময় না পেলে আমাদের দল গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। ’
হকি ফেডারেশনের সদস্য ও লিগ কমিটির সম্পাদক খাজা তাহের লতিফ মুন্না মেরিনার্সের চিঠি সম্পর্কে বলেন, 'গতকাল তাদের চিঠি পেয়েছি। ইতোমধ্যে দলবদলের কার্যক্রম (টোকেন প্রদান) শুরু হয়েছে। মেরিনার্সের বিষয়টি এখন সাধারণ সম্পাদকের উপর নির্ভর করছে। ’
হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ এই প্রসঙ্গে বলেন, 'দলবদলের আলোচনা চলছে গত বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে। ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সভাতেও উঠেছিল বিষয়টি। লিগ কমিটির সভায় দলবদলের সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রায় দুই সপ্তাহ। সবগুলো ক্লাব যেখানে প্রস্তুত সেখানে একটি ক্লাবের এমন দাবির তেমন যৌক্তিকতা নেই। '
লিগ কমিটির সভায় মেরিনার্স ক্লাবের প্রতিনিধিও ছিলেন। সেই সভায় সিদ্ধান্তের দশ দিন পর গতকাল চিঠি দেয়ার কারণ সম্পর্কে ক্লাবটির সাধার সম্পাদকের ব্যাখ্যা, 'মেরিনার্সের আবাহনী-মোহামেডানের মতো সামর্থ্য নেই। সীমিত সাধ্যের মধ্যে আমাদের হ্যান্ডবল, টিটি, ক্রিকেট ও হকি দল গঠন করতে হয়। আমাদের ক্লাব সভাপতি পারিবারিকভাবে (অসুস্থতাজনিত) ব্যস্ত। হকি কমিটির চেয়ারম্যানও চিকিৎসাধীন। আবার নির্বাচন পরবর্তী সময়ও চলছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের দলগঠন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। '
এবারের দলবদলে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। আগে কখনো দলবদল শুরুর আগে খেলোয়াড়ের হাতে টোকেন দেওয়া হতো না। দলবদলের দিন ক্লাব খেলোয়াড় নিয়ে এসে টোকেন তুলত। কিন্তু তাতে দেখা যেত, একজন খেলোয়াড়কে একাধিক ক্লাব টাকা দেয়। পরে সেটা নিয়ে গোলমাল বাঁধে। তেমনটা এড়াতে এবার দলবদল শুরুর আগেই খেলোয়াড় চাইলে টোকেন নিতে পারবে ফেডারেশন থেকে। পরে তিনি যে ক্লাবে জমা দেবেন সেই ক্লাবের খেলোয়াড় হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এআর/এএইচএস