ঢাকা: পার্বত্য জেলা বান্দরবানের অন্যতম সুন্দর সড়কের মধ্যে বান্দরবান-চিম্বুক সড়ক অন্যতম। নৈসর্গিক শোভার পাশাপাশি এই সড়কে রয়েছে দারুণ সব বাঁক।
‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স আলট্রা ম্যারাথন ২০২৪’ এর এই আয়োজনে দুই ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৪০০ প্রতিযোগী। ম্যারাথনের প্রতিযোগীরা বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ থেকে যাত্রা শুরু করে চিম্বুক পাহাড় ছুঁয়ে ফের রাজার মাঠ অবধি দৌড়েছেন। সদ্য কৈশোর পেরোনো তরুণদের সঙ্গে সত্তরোর্ধ ব্যক্তিরাও অংশ নিয়েছেন।
দেশের নানান জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বজায় রাখার আহ্বান ছিল ইভেন্টের ট্যাগ লাইনে। পুরো আয়োজনে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও বান্দরবান পুলিশ প্রশাসন। আয়োজকদের নিজস্ব হাইড্রেশন পয়েন্টের সঙ্গে দৌড়বিদদের জন্য নানান পয়েন্টে পানি, স্যালাইন, গ্লুকোজসহ নানান খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তারা।
৫২ কিলোমিটার পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো. রাজন মিয়া; নারী ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন উম্মে হুমাইয়া কানেতা। ২৫ কিলোমিটার পুরুষ ক্যাটাগরিতে সেরার মুকুট পরেছেন মাইনুল আহমেদ; ২৫ কিলোমিটার নারী ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নুরুন্নাহার বেগম।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বান্দরবানকে ব্র্যান্ডিং করার এই আয়োজনের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। রেস ট্র্যাকে রানারদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা পূর্ণ খেয়াল রেখেছি। মেডিকেল সাপোর্টের বিষয়টিও ছিল আমাদের পূর্ণ নজরে। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনের পরিকল্পনা হলে আমরা আয়োজকদের পাশে দাঁড়াব।
রেস ডিরেক্টর ফরহান জামান বলেন, আমাদের ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স মূলত পর্বতারোহণ ক্লাব। আমরা যখনই কোনো ম্যারাথন কিংবা আলট্রা ম্যারাথনের আয়োজন করি, আমাদের চেষ্টা থাকে সেটাকে চ্যালেঞ্জিং করার। সেজন্য বরাবরের মতোই পার্বত্য অঞ্চলে আমরা ম্যারাথন আয়োজন করি। এ বছর বান্দরবান-চিম্বুক সড়কে যারা এই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছেন, তাদের সবাই নিঃসন্দেহে দারুণ দৌড়বিদ। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা নিয়মিত এমন আয়োজন করতে চাই।
এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল আই’স অন বাংলাদেশ, রহমান’স গ্রোসারিস এবং আরলা ডানো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
এসআইএ