শেখর ধাওয়ান ধরে রাখলেন শুরুতে। শেষদিকে ঝড় তুলে পাঞ্জাব কিংসকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন শশাঙ্ক সিং।
সোমবার চিন্নাসামী স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে পাঞ্জাব। ৪ বল আগে ওই রান তাড়া করে বেঙ্গালুরু।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জনি বেয়ারস্টোর উইকেট হারিয়ে ফেলে পাঞ্জাব কিংস। মোহাম্মদ সিরাজের বলে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ৬ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ৩৮ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন শেখর ধাওয়ান ও প্রাভসিমরান সিং।
৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলের দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন ধাওয়ান, তিনি আউট হন ম্যাক্সওয়েলের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে। ২ চার ও সমান ছক্কায় ১৭ বলে ২৫ রান করেন প্রাভসিমরান। পরে আরও একটি পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি পায় পাঞ্জাব।
স্যাম কারান ও জিতেশ শর্মার ওই জুটি ছিল ৩৪ বলে ৫২ রানের। ১৭ বলে ২৩ রান করে স্যাম কারান ও ২০ বলে ২৭ রান করে আউট হন জিতেশ। পাঞ্জাবের রানকে অবশ্য ভালো অবস্থায় নিয়ে যান শশাঙ্ক সিং। ১ চার ও ২ ছক্কায় ৮ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। বেঙ্গালুরুর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ম্যাক্সওয়েল ও মোহাম্মদ সিরাজ।
রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই জীবন পেয়ে যান বিরাট কোহলি। স্লিপে দাঁড়িয়ে তার ক্যাচ ছেড়ে দেন জনি বেয়ারস্টো। পরে ওই ওভারেই চারটি বাউন্ডারি মেরে ১৬ রান নেন কোহলি। যদিও উইকেটের জন্য লম্বা অপেক্ষা করতে হয়নি বেঙ্গালুরুকে।
তৃতীয় ওভার করতে এসে ফাফ ডু প্লেসিসের উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাদা। পাওয়ার প্লের মধ্যেই ক্যামেরুন গ্রিনকেও ফিরিয়ে দেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। অনেকটাই চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু।
এরপর রজত পাতিদারের সঙ্গে ৩৫ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন কোহলি। ১৮ বলে ১৮ রান করা রজত পাতিদারকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হারপ্রিত ব্রার। তিনিই ফেরান ৫ বলে ৩ রান করা ম্যাক্সওয়েলকে। আইপিএলে হারপ্রিতের মুখোমুখি হওয়া ১৭ বলে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো আউট হন ম্যাক্সওয়েল।
উইকেট হারানোর চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন কোহলি। ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এরপরও দলকে একা হাতে জয়ের দিকে নিতে থাকেন কোহলি। কিন্তু ১৬তম ওভারের শেষ বলে হার্শাল প্যাটেলের বলে ক্যাচ তুলে আউট হয়ে যান তিনি। ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ বলে ৭৭ রান করেন কোহলি।
তার বিদায়ের পর অনেকটা নিশ্চুপ হয়ে যায় মাঠ। এক বল বিরতির পর অনুজ রাওয়াতকে আউট করেন স্যাম কারান। বেঙ্গালুরুর জয়ের সম্ভাবনাও কমে আসে অনেকটা।
শেষ চার ওভারে ৪৭ রান দরকার হয় বেঙ্গালুরুর। অভিজ্ঞ দিনেশ কার্তিকের সঙ্গী হন ইম্প্যাক্ট সাব হিসেবে নামা মহিপাল লুমরোর। তারা দুজন মিলে শেষ ওভারে সমীকরণটা ১০ রানে নামিয়ে আনেন। প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন কার্তিক। ৩ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ১০ বলে ২৮ রান করেন তিনি। ৮ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন মহিপাল।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৪
এমএইচবি/