প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের সুপার সিক্স পর্বের খেলা আগামীকাল থেকে শুরু হবে। ছয় দল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে পরস্পরের বিপক্ষে লড়বে।
৮ নম্বরে থেকে এবারের আসর শেষ করেছে দলটি। তবে বাংলাদেশ এসসি সুপার সিক্স পর্বে উঠতে না পারলেও লিগে দারুণ পারফরম্যান্স করে ইতোমধ্যে আলো কেড়েছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সাবেক শিক্ষার্থী অভি। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিলেন পটুয়াখালীর ছেলেটি। প্রথম বিভাগ হকি লিগসহ টানা চতুর্থবার খেললেন ঘরোয়া লিগে। তবে লিগের এবারের আসরকে নিজের খেলা সেরা আসর বলে মন্তব্য অভির।
প্রিমিয়ার লিগে অভির শুরুটা ২০১৮ সালে। ওয়ান্ডারার্স ক্লাব দিয়ে। এরপর গত লিগে খেলেছেন দেশের আরেক জনপ্রিয় ক্লাব সোনালী ব্যাংকের জার্সিতে। আর ২০২৪ চলমান লিগে খেলেছেন বাংলাদেশ এসসিতে। এর আগে ২০১৬ সালে পিডব্লিউডির হয়ে খেলেছেন প্রথম বিভাগ হকি লিগে। বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে থাকলেও এখনো জাতীয় দলে ডাক মেলেনি। লিগের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে সামনে নিশ্চয়ই জাতীয় দলে ডাক মিলবে।
এ ব্যাপারে অভি বলেন, ‘ঘরোয়া লিগ হচ্ছে জাতীয় দলে খেলার মূল মানদণ্ড। যেহেতু লিগে বাংলাদেশ এসসির হয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেছি, সেহেতু আমার বিশ্বাস সামনে জাতীয় দলের ক্যাম্পে নিশ্চয়ই আমাকে ডাকা হবে। একদিন জাতীয় দলে খেলব, লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়াব- এই স্বপ্ন ছোট বেলা থেকেই দেখছি। স্বপ্নপূরণের জন্য যত কষ্ট, পরিশ্রম করতে হয় তার জন্য আমি প্রস্তুত। ’
হকি খেলা নিয়মিত হয় না এটা কারোর অজানা নয়। চলমান লিগটা হচ্ছে দীর্ঘ ২৮ মাস পর। তবে মাঠে হকি না থাকলেও সেনাবাহিনীতে নিয়মিত অনুশীলন চলে। সেখানেই নিজেকে প্রতিনিয়ত ঝালিয়ে নেন এ গোলরক্ষক। গত বছর সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। বাহিনীর চাকরি জীবন নাকি বদলে দিয়েছে অভির। চাকরির সুবাদে অনুশীলনটা নিয়মিত চালিয়ে যেতে পারছেন বলেও উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে অভি আরো বলেন, ‘নিজেকে সব সময় প্রস্তুত রাখতে হবে। আমি সেই চেষ্টাই করছি। সেনাবাহিনীর চাকরিতে যোগদানের পর থেকে আমার অনুশীলনে কোনো ঘাটতি হচ্ছে না। বাহিনীর চাকরি আমার জীবনই বদলে দিয়েছে। এই যে লিগে নিজের সেরাটা দিয়ে লড়েছি এটা কেবলই সেনাবাহিনীতে অনুশীলনের কারণে সম্ভব হয়েছে। এবারের লিগে খেলোয়াড়রা পারিশ্রমিক কম পেলেও জমজমাট লড়াই হচ্ছে। অনেক ভালোমানের খেলোয়াড়রা চলতি লিগে বিভিন্ন দেশ থেকে খেলতে এসেছেন। বিদেশিদের সঙ্গে খেলে নিজেদের খেলার মানও উন্নত করতে পেরেছি। ’
পটুয়াখালী থেকে ২০১৫ সালে বিকেএসপিতে এসে ভর্তি হন অভি। ২০২০ সালে বিকেএসপি জীবন শেষ হয় তার। বিকেএসপির কোচ মশিউর রহমান বিপ্লবের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। এর পাশাপাশি বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে তিনবার ক্যাম্প থাকার সুবাদে জনপ্রিয় গোলরক্ষক কোচ রাসেল খান বাপ্পির কাছ থেকেও তালিম নেয়ার সুযোগ হয়েছে। বাবা, মা, ছোট বোন- অভিদের ছোট্ট সংসার। হকিই অভির জীবনের সব কিছু। হকি ভিন্ন জীবনের একটি দিনও কল্পনা করতে পারেন না এ গোলরক্ষক।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৪
এআর/আরইউ