ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

জিয়া এভাবে চলে যাবেন ভাবতেই পারেননি নিয়াজ-রাজীব

নিউজরুম এডিটর, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৪
জিয়া এভাবে চলে যাবেন ভাবতেই পারেননি নিয়াজ-রাজীব

১৯৮৭ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সেই উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে ইতিহাস গড়েন নিয়াজ মোর্শেদ। কিন্তু পরবর্তী গ্র্যান্ডমাস্টার পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় আরও ১৫ বছর।

২০০২ সালে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে আসে সেই অর্জন। জিয়া আজ খেলতে খেলতেই ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না নিয়াজ।  

দাবা ফেডারেশনে চলমান জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম রাউন্ডে আজ এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে খেলছিলেন জিয়া। খেলার এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে দ্রুত ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নেওয়া হলেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।  

জিয়ার আগেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় ভেন্যু ছেড়ে চলে যান নিয়াজ। পথে মৃত্যুর খবর শুনতে পেয়ে চমকে ওঠেন তিনি। তাই তো হাসপাতালে এসে একদমই ভেঙে পড়েন এই দাবাড়ু।

ভেজা চোখে বাংলাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার বলেন, ‘আমার আসলে কিছু বলার মানসিকতা নেই। এমন হঠাৎ করে হয়ে গেছে যে, আমরা কেউ এটা প্রত্যাশা করিনি। আমি তো খেলা শেষ করে চলে যাওয়ার পর এটা শুনি। (জিয়ার মৃত্যু) বাংলাদেশের দাবার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। একে তো (বয়সে) ছোট, তার ওপর এত তাড়াতাড়ি চলে গেল। আগে তো আমার চলে যাওয়ার কথা ছিল। ’

খেলার সময় জিয়াকে দেখে কোনোভাবেই অসুস্থ মনে হয়নি গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হক রাজীবের। এমনকি জিয়া নিজেও কিছু বলেননি। একপর্যায়ে ড্র অফার দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন দেননি, সেই প্রশ্নই এখন পোড়াচ্ছে তাকে।

তিনি বলেন, ‘একবারও মনে হয়নি সে (জিয়া) অসুস্থ। একবারের জন্যেও সে কিছুই বলেনি। আমি ভেবেছিলাম ড্র অফার দেব। যেহেতু আমি কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলেছি। তারই একমাত্র সম্ভাবনা ছিল চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইট দেওয়ার। কিন্তু আমি দেইনি। হয়তো ড্র অফার দেওয়া উচিত ছিল। যদি সে ড্র নিত, তাহলে হয়তো এমন কিছু হতো না। যদি সামান্যতম বুঝতাম তাহলে সেরকম চেষ্টা করতাম। ’

‘সে কেবল টেবিলের পাশে কাত হয়ে ছিল। ভাবলাম পানির বোতল (খুঁজছে) বা এরকম কিছু একটা করছে আরকি। তখন আমার চাল ছিল। তারপর আমি তার দিকে তাকালাম। তখনই সে পড়ে গেল। আমি তখন লাফ দিয়ে গিয়ে ধরলাম কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ’

দাবাই ছিল জিয়ার ধ্যানজ্ঞান। এর বাইরে অন্য কোনো পেশায় নিজেকে নিযুক্ত রাখেননি। তার ছেলে তাহসীন তাজওয়ার জিয়াও বর্তমানে খেলছেন ফিদেমাস্টার খেতাব নিয়ে। জিয়ার চলে যাওয়াকে তাই বিশাল ক্ষতি হিসেবে দেখছেন রাজীব, ‘দাবাই তার প্যাশন ছিল। মানুষ তো প্যাশনের কারণেই সবকিছু করে। সবসময়ই সে দাবা নিয়ে থাকতে পছন্দ করত। তার চলে যাওয়া অবশ্যই বিশাল ক্ষতি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৪
এএইচএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।