ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

খেলা

উইন্ডিজ সর্বকালের সেরা একাদশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১০
উইন্ডিজ সর্বকালের সেরা একাদশ

ঢাকা: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা একাদশ বাছাই করতে গেলে নির্বাচকদের হিমশিম খাওয়ার-ই কথা। কাকে রেখে কাকে একাদশে নেবেন।

ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর বিচারকদের বেলাতেও তাই হয়েছে।

 

ক্রিকইনফোর দশ বিচারক একাদশে রেখেছেন আশির দশকের পাঁচ ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডস, গর্ডন গ্রিনিজ, কার্টলি অ্যামব্রোস ও ম্যালকম মার্শালকে। উইন্ডিজের সোনালী সময়ের ক্রিকেটার তাঁরা সবাই।

 

সত্তরের দশকের ক্রিকেটাররা ভাবতে পারেন তাঁদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আবার বতর্মান দলের ক্রিকেটাররাও অবহেলার অভিযোগ আনতে পারেন। তবুও বলতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকালের সেরা একাদশে সেরাদেরই বেছে নেওয়া হয়েছে।

 

ক্রিকেটবিজ্ঞদের অনেকেই হতাশ হতে পারেন বিখ্যাত তিন ডব্লিউ ওরেল, ওয়ালকট এবং উইকসকে না দেখে। বাস্তবতা হলো অনেক বিখ্যাতদের ভিড়ে হারিয়ে গেছেন তাঁরা।

 

বিচারকদের সবার ভোট পেয়ে আদায় করে নিয়েছেন ভিভ রিচার্ডস। এছাড়া সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচিত গ্যারি সোবার্স ও কালো ব্রাডম্যান খ্যাত জর্জ হেডলিও দশজনের ভোট পেয়েছেন।

 

পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা একাদশের মতোই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেরা একাদশে জায়গা পাননি জাতীয় দলের বর্তমান কোনো ক্রিকেটার। যেটা ক্রিকেটে দেশ দুটির বর্তমান দুরবস্থাকেই ফুটিয়ে তুলেছে।

 

এদিকে সেরা একাদশের ইনিংস উদ্বোধন করতে একজন বাদে জুরিদের সবাই রায় দিয়েছেন গ্রিনিজকে। তবে বাদ পড়েছেন তাঁর উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী ডেসমন্ড হেইন্স। যার সঙ্গে রেকর্ড ১৬ বার শতরানের জুটি গড়েছিলেন গ্রিনিজ।

 

এদিকে সেরা একাদশে গ্রিনিজের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে জুরিদের পছন্দ কনরাড হান্ট। যিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৪৪টি টেস্টে অংশ নিয়ে তিন হাজারেরও বেশি রান করেছেন।

 

এদিকে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয় ভোট পেয়ে একাদশে জায়গা করে নেন ব্রায়ান লারা। আর উইকেটের পেছনে বেছে নেওয়া হয়েছে জ্যাকি হেনড্রিকসকে।

 

যদিও জেফ ডজন ও কাইডি ওয়ালকট কিপিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও বেশ পারদর্শী ছিলেন। কিন্তু উইকেটের পেছনে পেসারদের পাশাপাশি স্পিনারদেরও ভালোভাবে সামলাতে পারায় জুরিদের রায় যায় হেনড্রিক্সের পক্ষেই। সঙ্গে মিডল অর্ডারে হেডলি, রিচার্ডস, লারা ও সোবার্সদের মতো ব্যাটসম্যান থাকায় তারা একজন নিখাঁদ উইকেট রক্ষককেই বেছে নেন।

 

 পেসারদের স্বর্গরাজ্যে স্পিনারের ভূমিকাকে পালন করবেন এই প্রশ্নে একজন বাদে সবাই বেছে নেন স্পিনার হিসেবে টেস্টে প্রথম ৩০০ উইকেটের খাতা খোলা ল্যান্স গিবসকেই।

 

 অন্যান্য পজিশনের সেরাদের বেছে নেওয়ার পর একাদশে জায়গা ছিল ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপন ধরানো শুধু তিনজন পেস বোলারের। এক্ষেত্রে নয় ভোট পেয়ে সেরাদের সেরা হন ম্যালকম মার্শাল। পরের দুটি স্থানে জায়গা করে নেন মাইকেল হোল্ডিং ও কার্টলি অ্যামব্রোস। উভয়ে ছয়জন জুরির সমর্থন পান।

 

স্বপ্নের একাদশের চার জন ক্রিকেটারই এসেছেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের পাওয়ার হাউজ হিসেবে খ্যাত বার্বাডোস থেকে।

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকালের সেরা একাদশ নির্বাচনে যে দশজন জুরির ভূমিকায় ছিলেন তারা হলেন সাবেক টেস্ট খেলোয়াড় জিমি অ্যাডামস, ক্রীড়া সাংবাদিক টনি বেকা, ফাজির মোহাম্মদ ও গার্থ ওয়াটলি, রেডি ধারাভাষ্যকার জোসেফ পেরেইরা, ক্রিকেট ইতিহাসবেত্তা হিলারি বেকলিস ও ক্রীড়া মনোবিজ্ঞানী রুডি ওয়েবস্টার, লেখক ইয়ান ম্যাকডোনাল্ড , ফ্রাঙ্ক বিরবল সিং ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক মিডিয়া ম্যানেজার ইমরান খান।

 

এদিকে ক্রিকইনফোর পাঠকদেরও সেরা একাদশ বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো। সেরা একাদশ বেছে নিতে তাদের রায় ও জুরিদের রায়ের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই মিল রয়েছে। বিশেষ করে মিডল অর্ডার, পেস বোলার, স্পিনার ও অলরাউন্ডারদের ক্ষেত্রে জুরিদের রায়ের সঙ্গে তাদের রায় হুবহু মিলে গেছে।

 

জুরিদের একাদশ: গর্ডন গ্রিনিজ, কনরাড হান্তে, জর্জ হেডলি, ভিভিয়ান রিচার্ডস, ব্রায়ান লারা, গ্যারি সোবার্স, জ্যাকি হেনড্রিকস, ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিং, কার্টলি অ্যামব্রোস ও ল্যান্স গিবস।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘন্টা, জুলাই ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।