ঢাকা: অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল মুখোমুখি হয়েছিল সার্বিয়ার বিপক্ষে। ফাইনালে সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে সেলেকাওদের।
ব্রাজিল সেমিফাইনালে উঠতে ৫-০ গোলে হারায় সেনেগালকে। আর মালিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ হয় সার্বিয়া।
সিনিয়রদের বিশ্বকাপে আয়োজক দেশ হয়েও সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে হেরে ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায় ব্রাজিলের। তাই জুনিয়রদের বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিল দেশটি। কিন্তু, পিছিয়ে পড়ে নির্ধারিত সময়ে সমতায় ফিরলেও অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো খেলায় পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। আর সেখানেই তাদের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।
এবারের আসরের শিরোপা জিততে পারলে যুব বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার ছয়টি শিরোপা জয়ের রেকর্ড ছুঁতে পারত ব্রাজিল।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ আর পাল্টা-আক্রমণ থেকে ম্যাচের গতি বাড়ে। তবে, প্রথমার্ধে কোনো দল গোলের দেখা পায় নি। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় রোজারিও মাইকেলের ব্রাজিল আর পাউনোভিকের সার্বিয়া।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিটে লিড নেয় সার্বিয়া। সেলেকাওদের পেছনে ফেলে দলকে এগিয়ে নেন সার্বিয়ান ফুটবলার স্তানিসা মানদিক। তবে, সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেন নি রোনালদো, কাকা, নেইমারদের জুনিয়ররা।
গোল হজমের তিন মিনিট পরেই সমতায় ফেরে সেলেকাওরা। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে দলকে গোল পাইয়ে দেন আন্দ্রেস পেরেইরা।
নির্ধারিত সময় শেষে আর কোনো গোল না হলে দুই দল ১-১ গোলের সমতায় নিয়ে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় মাঠে নামে। অতিরিক্ত সময়ের গড়ানো খেলায় ১১৮ মিনিটের মাথায় সার্বিয়া গোল করে লিড নেয়। দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন নেমানজা মাকসিমোভিক। এ গোলের পর ব্রাজিল আর সমতায় ফিরতে পারে নি। ফলে, ২-১ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় যুব বিশ্বমঞ্চের শুরু থেকে অসাধারণ খেলে আসা ব্রাজিলকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ২০ জুন ২০১৫
এমআর