ঢাকা: পর পর দুই ম্যাচে নাস্তানাবুদ। একটি ৭৯ রানে অন্যটি ৬ উইকেটে।
ভারতীয় সাংবাদিকের অধিনায়কের কাছে প্রশ্ন, আপনি কি ক্রিকেট খেলাটা আর উপভোগ করছেন? মনে হচ্ছে না, ওয়ান ডে অধিনায়কত্বেও এ বার একটা বদল দরকার? ঠিক যা করে বিরাট কোহলিকে টেস্টে আনা হয়েছে?
ধোনিরও সাফ সাফ উত্তর, “আপনাদের যদি মনে হয় আমার জন্যই ভারতীয় ক্রিকেট ডুবছে, আমাকে সরিয়ে দিলেই সব সমস্যা মিটে যাবে, তা হলে আমাকে সরিয়ে দিন।
বলেই চললেন ধোনি, “আমি তো বলিনি আমাকে নিয়ে এসো। ক্যাপ্টেন করে দাও। আমি তখনই দায়িত্ব নিয়েছিলাম, যখন আমাকে নিতে বলা হয়েছিল। আজ যদি মনে হয় সেই দায়িত্বটা অন্য কাউকে দিলে ভাল হয়, তা হলে সেটাই হোক। আমার কোনও সমস্যা নেই।
উত্তরকে লম্বা করে চললেন ধোনি। বলতে থাকেন, আর ভারতীয় মিডিয়া আমাকে খুব ভালবাসে। আমি হলাম এমন একটা লোক, যাকে কোনও কিছু হলেই দোষী হতে হয়। সেটা তো হতেই হবে, না? কারণ আমার জন্যই তো সব কিছু হয়ে থাকে। আর আপনাদের প্রশ্ন শুনে বাংলাদেশ মিডিয়াও কী রকম হাসছে!
ভারত দলপতি প্রথম দিকে শান্ত ছিলেন। প্রেস কনফারেন্স রুমে ঢোকার সময়ই তাকে ‘মওকা মওকার’ বিদ্রুপ শুনতে হয়েছে দর্শকদের। তখনই হয়তো মেজাজটা খারাপ হয়ে যায় তার। স্টুয়ার্ট বিনির প্রসঙ্গ আসামাত্র পাল্টা জবাব দিতে থাকেন ধোনি।
“আমি তো বললাম যে, পেসার কমাতে চেয়েছিলাম। তার পরেও আপনারা বলছেন, স্টুয়ার্টকে কেন খেলাইনি। আরে, ক্যাপ্টেন তো আমি। টিমের যেটায় ভাল হবে বলে মনে হয়েছে, সেটা করেছি। আপনি যেদিন ভারতের অধিনায়ক হবেন, সে দিন আপনার মনের মতো দল নির্বাচন করবেন।
পরে অন্ধকার শের-ই-বাংলা দিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটতে হাঁটতে ঘনিষ্ঠদের কাউকে কাউকে ধোনি নাকি বলে দেন, তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে যা বলেছেন ভেবেচিন্তেই বলেছেন। তার প্রয়োজন দেশের ক্রিকেটের কাছে ফুরিয়েছে মনে হলে, তাকে সরিয়ে দেওয়া হোক।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
কেএইচ