ঢাকা: এই দিনে গোলটি হাত দিয়েই করেছিলেন দিয়াগো ম্যারাডোনা। তবে পার্থক্যটা শুধু দৃষ্টিভঙ্গিতে।
আর স্বয়ং ম্যারাডোনার মতে এটি ছিল ঈশ্বরের হাত। তাই এটিকে বলা হয় ‘হ্যান্ড অব গড’।
কিন্তু পুরো ইংল্যান্ডবাসীর মতে হাতটি ছিল শয়তানের। তারা এটিকে বলে থাকেন 'হ্যান্ড অব ডেভিল'।
ঐ ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় গোলটিও করেন ম্যারাডোনা। ইংল্যান্ডের পাঁচ ফুটবলার ও গোলরক্ষক পিটার শিলটনকে কাটিতে যে গোলটি করেন ম্যারাডোনা সেটাকে “শতাব্দীর সেরা গোল” বলা হয়।
বিশ্বকাপের সে আসরের শিরোপার স্বাদ নেয় আর্জেন্টিনাই। এটি ছিল আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় শিরোপা জয়। দলের নেতৃত্ব দেন দিয়াগো ম্যারাডোনা। পুরো প্রতিযোগিতায় তিনি করেন পাঁচ গোল এবং সতীর্থদের দিয়ে করান আরও পাঁচটি গোল। ফাইনালে মেক্সিকো সিটির এস্তাদিও অ্যাজতেকায় পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা।
ইংল্যান্ডের ফুটবল প্রেমীরা সেই দুঃখ ভুলতে পারেনি আজও। আর ফুটবল বিতর্কের দিক দিয়ে এটা সবচেয়ে চটকদার। গত বছর বিতর্কিত গোল নিয়ে বোমা ফাটান সেই ম্যাচের রেফারি আলী বেনাসিউর।
তিনি বলেন, 'ম্যারাডোনা একা গোলটি করতে পারেননি, আমি তাকে সহযোগিতা করেছি। গোল করার আগ মুহূর্তে আমি বাঁশি মুখে নিয়ে প্রস্তুত ছিলাম কিন্তু তা বাজাইনি! কারণ সে সময়ের ভিডিওটি দেখুন। গোলের পর আমি পেছনের দিকে দৌড়াচ্ছিলাম। কেননা, গোল নিয়ে আমার কিছুটা সন্দেহ ছিল। ফলে লাইন্সম্যানের সংকেতের অপেক্ষায় ছিলাম, তবে সে কিছুই জানায়নি। যদি এটা দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপে হতো তাহলে আমি গোল বাতিল করতাম। কারণ ওই সময়ের পরিস্থিতিতে আমাকে লাইন্সম্যানের ওপরই নির্ভর করতে হয়েছিল। '
ম্যারাডোনার গোলটির ভিডিও:
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ২২ জুন ২০১৫
ইয়া/এমআর