ঢাকা: যদি বিদেশি ফুটবলার দেশি ফুটবলারদের থেকে ভালো খেলে তবে এ সুযোগটি আমাদের নেয়া উচিত। ঠিক এ ধরণের বিষয়কে সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
সত্যি তাই, মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে জার্মানি, ফ্রান্সের মতো পরাশক্তিগুলো বিদেশি ফুটবলারদের নাগরিকত্ব দিয়ে ঠাঁই দিয়েছে জাতীয় দলে। আর বিদেশি ফুটবলারদের এতটুকু বাড়তি সুবিধা দিয়ে ফলাফলও খারাপ নয় দলগুলোর। এবার সেই পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সামাদ ইউসুফ, ইসমাইল বাঙ্গুরা আর কিংসলে চিগোজিকে হয়তো অচিরেই দেখা যাবে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে। বাফুফে সভাপতি কাজী মো: সালাউদ্দিন ও প্রধান কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফও তৈরি চ্যালেঞ্জটা নিতে।
তাদের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলাররাও। বাফুফের এই উদ্যোগে কোনো সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক বড় দলে এভাবে নাগরিকত্ব দিয়ে খেলানো হয়। বাফুফে যদি বাংলাদেশের পারফরমেন্স ও খেলার উন্নয়নে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করে তবে সত্যি তা ভালো হবে। এর ফলে তেমন কোন সমস্যা আমি দেখছি না। এরফলে দেশের ফুটবলে প্রতিযোগিতা আরো বাড়বে। '
সাবেক গোলরক্ষক বিজন বড়ুয়া বলেন, 'জাতীয় দলে ভাল মানের কোনো ফরোয়ার্ড ও ডিফেন্ডার নেই। এর অভাব খুব শিগগিরি পূরণ হবারও কোন পথ নেই। তাই আপাতত এই পজিশনে শক্তি বাড়াতে কোন সমস্যা নেই। '
আরেক দেশসেরা গোলরক্ষক মো: মহসিনের মতে, ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে বাফুফে। এ ধরণের পদক্ষেপ আগে নেয়া উচিত ছিল। দেরীতে হলেও বাফুফে শুরু করতে যাচ্ছে এটাই বড় বিষয়। '
সাবেকদের সাথে গলা মিলিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় দলে বিদেশি ফুটবলার খেলানো অবশ্যই ইতিবাচক। এতে দেশের ফুটবলারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে বহুগুন। ’
ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছে বাফুফে কর্তৃপক্ষ। তারা চাচ্ছে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগেই লাল-সবুজের জার্সি গায়ে এই ফুটবলারদেরকে দলে পেতে। এখন দেখার বিষয় বাফুফের এই উদ্যোগ দলীয় সাফল্যে ও দেশের ফুটবলের উন্নয়নে কতটা আলোর মুখ দেখে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, ২২ জুন ২০১৫
ইয়া/এমআর