ঢাকা: কোপা আমেরিকার ৪৪তম আসরে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নেমেছিল বলিভিয়া আর পেরু। প্রথম সেমিফাইনালে স্বাগতিক চিলির বিপক্ষে খেলার টিকিট নিশ্চিত করতে জয় পেয়েছে পেরু।
ম্যাচের ২০ মিনিটে লিড নেয় গত আসরের তৃতীয় স্থান অধিকার করা পেরু। হুয়ান ভারগাসের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন পাওলো গুয়েরেরো। ভারগাসের তুলে মারা বলে দুরন্ত গতিতে হেড করেন গুয়েরেরো। বলিভিয়ার গোলরক্ষক কুইনোনেজের নাগালের বাইরে দিয়ে বল জালে জড়ালে ১-০তে এগিয়ে যায় গ্রুপ পর্বে রানার্সআপর হওয়া পেরু।
এর তিন মিনিট পর আবারো বলিভিয়ার জাল কাঁপিয়ে গোল করেন গুয়েরেরো। কিউবার অ্যাসিস্টে নিজের আর দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। ২৩ মিনিটের মাথায় কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল নিয়ে বলিভিয়ার ডি-বক্সে অনেকটা ফাঁকায় ঢুকে পড়েন গুয়েরেরো। এগিয়ে আসতে থাকা বলিভিয়ার গোলরক্ষক কুইনোনেজকে ফাঁকি দিয়ে জোরালো শটে গোল করেন প্রথম থেকে দুরন্ত গতিতে খেলতে থাকা গুয়েরেরো।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে তৃতীয় গোলের সুযোগ পেয়েছিল ১৯৬৩ সালের চ্যাম্পিয়নরা পেরু। কিউবার কাছ থেকে পাওয়া ফারফানের মাটি কামড়ানো মাটি বলিভিয়ার সাইডবারে লেগে বাইরে চলে যায়।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে পেরুর ফারফানের আরেকটি শট বলিভিয়ার গোলবারে লেগে ফিরে আসে। ২৫ গজ দূর থেকে পাওয়া ফ্রি-কিক থেকে শটটি নেন ফারফান। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পেরু।
বিরতির পর কিছুটা গুছিয়ে খেলতে থাকে বলিভিয়া। নিজেদের ডিফেন্সে শক্তি বাড়িয়ে পেরুকে আটকে রাখে। তবে, ৫৩ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে ডিফেন্স চেড়া শট নেন পিজারো। এ শট থেকে অবশ্য কোনো গোল আদায় করে নিতে পারেন নি পেরুর তারকা পিজারো।
বারবার আক্রমণে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া বলিভিয়া ৫৭ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল গোলের দেখা পাওয়ার। চুমাসেরোর বাঁকানো শট গোলবারের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। দুই মিনিট পর ফারফানের আরেকটি শট বলিভিয়ার গোলবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৬০তম মিনিটে পেনাল্টি এরিয়া থেকে নেওয়া স্মেদবার্গের শট রুখে দেন পেরুর ডিফেন্ডাররা।
৬৫ মিনিটে আবারো পেরুর আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। সর্বশেষ আটটি টুর্নামেন্টের সাতটিতেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে যাওয়া পেরু তাদের তৃতীয় গোলের দেখা পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় পুরো মাঠ জুড়ে অসাধারণ গতিতে ছুটে চলা ফারফান ফাঁকায় বল পেয়েও গোল আদায় করে নিতে ব্যর্থ হন।
৭৪ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে বলিভিয়ার ডি-বক্সে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থেকে হেড করলেও হ্যাটট্রিকের দেখা মেলেনি ৩১ বছর বয়সী গুয়েরেরোর। তবে, ৩০ সেকেন্ডের মাথায় বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক এ স্ট্রাইকার নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। বলিভিয়ানদের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষক কুইনোনেজকে ফাঁকি দিয়ে গোল আদায় করে নেন গুয়েরেরো। নিজের হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি দলকেও পাইয়ে দেন তৃতীয় গোলের স্বাদ।
৮৪ মিনিটে ব্যবধান কমায় বলিভিয়া। মোরালেসের বদলি হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে বলিভিয়ার হয়ে খেলতে নামা লিজিওকে নিজেদের ডি-বক্সে অযথাই ফেলে দেন পেরুর ডিফেন্ডার। ফলে, পেনাল্টি লাভ করে বলিভিয়ানরা। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মার্সেলো মোরেনো ব্যবধান কমান।
ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ৩-১ গোলের পরাজয় মেনে নেয় বলিভিয়া। আর গ্রুপ পর্বের চমক জাগানিয়া পারফরমেন্স করা পেরু প্রথম সেমিফাইনালের টিকিট করে নেয়। ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে হলে চিলির বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনালে লড়তে হবে পেরুকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, ২৬ জুন ২০১৫
এমআর