ঢাকা: কলম্বিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে কোপা আমেরিকার চলতি আসরের সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। কার্লোস তেভেজের নেওয়া সপ্তম শটে গোল হলে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয় মেসি বাহিনীর।
দলটির কোচ জেরার্ডো টাটা মার্টিনো ম্যাচ শেষে জানান, আমি চেয়েছিলাম তেভেজ যেন পেনাল্টি শট না নেয়। সে চাপ নিতে পারবে না ভেবেছিলাম।
কোচের এমন ভাবনার পেছনে একটি গল্পও রয়েছে। চার বছর আগে ২০১১ সালের কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে নির্ধারিত সময় শেষে ১-১ গোলের সমতায় থাকে। ফলে, পেনাল্টি শুটআউটে গড়ায় ম্যাচটি। প্রথম দু’টি শটের দু’টিতেই গোল পায় আর্জেন্টিনা। তবে তৃতীয় শটে গোল করতে ব্যর্থ হন তেভেজ। পরের দু’টি শটেও গোল পায় কোয়ার্টার থেকেই ছিটকে পড়া আর্জেন্টাইনরা। আর উরুগুয়ে তাদের ৫টি শটেই গোল করলে সেমিতে উঠে।
সে আসরে তেভেজের পেনাল্টি শটটি রুখে দিয়েছিলেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফারনান্দো মুসলেরা। ৪৭ হাজার দর্শকের সামনে চাপ নিতে পারেন নি তেভেজ।
মার্টিনো বলেন, ফুটবল কিছুকিছু সময় এমনই হয়। আমি তেভেজকে প্রথম পাঁচটি শট নেওয়া থেকে বাদ রেখেছিলাম। কারণ তখন শুধুই আমার মাথায় গত আসরে তেভেজের পেনাল্টি মিসের ঘটনা ভেসে বেড়াচ্ছিল। শুধু আমি নই, সকলেই তেভেজকে চাপ নেওয়ার ব্যাপারটা বুঝিয়েছি।
আর্জেন্টাইন কোচ আরও যোগ করেন, ফুটবলে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যেখানে দায়মোচনের সুযোগ আসে। অবশেষে আমরা তেভেজের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে তাকে শুটআউটে পাঠাই। আর সবকিছুই সে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিজের দায়মোচন করেছে, আমাদের আস্থার প্রতিদান দিয়েছে।
কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ডেভিড অসপিনা নিশ্চিত কয়েকটি গোলের হাত থেকে দলকে বাঁচিয়েছেন। অসপিনার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মার্টিনো বলেন, আমরা নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলাতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতাম। কিন্তু আমাদের জয়ের পথে বাধা দিয়েছে পুরো ম্যাচে অসাধারণ খেলা অসপিনা। সে সত্যিই দারুণ এক গোলরক্ষক।
০১ জুলাই বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায় ব্রাজিল আর প্যারাগুয়ের মধ্যকার (কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ) জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে মাঠে নামবে মেসি-তেভেজ-ডি মারিয়া-আগুয়েরোরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘন্টা, ২৭ জুন ২০১৫
এমআর