ঢাকা: মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ‘জায়ান্ট কিলার’ খ্যাত রহমতগঞ্জের বিপক্ষে বহু কষ্টে ৩-২ গোলের জয় পেয়েছে শক্তিশালী ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। রোববার (২৮ জুন) দিনের দ্বিতীয় এ খেলায় শুরু থেকে দাপুটে খেললেও শেষ সময়ে সেই ধারাবাহিতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় দলটি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচের ১৫ মিনিটে ওসাই মরিসনের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী (১-০)। সানজে চিজোবার পাস থেকে গোল করেন তিনি। আর ১৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন প্রথম গোলের নেপথ্যের নায়ক সানজে চিজোবা। শাহেদ আলমের পাস থেকে বল পেয়ে চিজোবার স্কয়ার শট রহমতগঞ্জের জাল ঠাঁই পায় (২-০)।
তবে জায়ান্ট কিলাররা ম্যাচে ফিরে আসতে প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিল। ৩৫ মিনিটে রহমতগঞ্জের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সোহেল মিয়ার গোল করে ব্যবধান কমান (২-১)।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় আকাশী-নীলরা। এ সময় সানজে চিজোবাকে ডি-বক্সের মধ্যে ফেলে দেন রহমতগঞ্জের সুমন দেব। ফলে রেফারি জালাল উদ্দিন পেনাল্টির নির্দেশ দেন। আর পেনাল্টি থেকে গোল করেন সানজে (৩-১)। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় জর্জ কোটানের আবাহনী।
তবে, বিরতির পর জায়ান্ট কিলাররা তাদের খেলার গতি বাড়ায়। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে বেশ গুছিয়ে খেলতে শুরু করে দলটি। ম্যাচের ৫০ মিনিটে রহমতগঞ্জের দিদারুল আলমকে আবাহনীর রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মামুন মিয়া ডি-বক্সের মধ্যে ফেলে দিলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। আর পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নেন রহমতগঞ্জের নুরুল আবসার (৩-২)।
রহমতগঞ্জ ম্যাচের ৭০ মিনিটের সময় নুরুল আবসারকে উঠিয়ে মাঠে নামায় আরেক ফরোয়ার্ড মান্নাফ রাব্বিকে। ছোট দলের বড় তারকা মান্নাফ নেমেই রহমতগঞ্জের দু’টি আক্রমণের নেতৃত্ব দেন। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি দলটি।
৮১ মিনিটে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ। কিন্তু কার্ড দেখে তিনি রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। ফলে দ্বিতীয় হলুদ সমান লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফাহাদ। এতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আবাহনী। পরবর্তী ৯ মিনিট রক্ষণাত্মক খেলে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পেশাদার লিগে চারবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।
এ জয়ের ফলে ৬ষ্ঠ অবস্থান থেকে চতুর্থ স্থানে উঠে এলো জর্জ কোটানের শিষ্যরা, ১১ ম্যাচে দলটির সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট। আর সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে রহমতগঞ্জের অবস্থান সপ্তম, পয়েন্ট ৯।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৫
ইয়া/এইচ