ঢাকা: জার্মানির অলিভার কান, কলম্বিয়ার রেনে হিগুইতা, প্যারাগুয়ের লুইস চিলাভর্ট, ইতালির জিয়ানলুইজি বুফনের মতো গোলরক্ষক যদি পোস্টের নিচে থাকে তাহলে রক্ষণভাগের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। আর মাঝে মধ্যেই দেখা যায় গোলরক্ষকের কল্যানে ম্যাচও জিতে যায় অনেক দল।
কারণ দেশ সেরা তারকা গোলরক্ষক অনেকেই অবসর নিয়েছেন। সর্বশেষ আমিনুল হক এবং বিপ্লব ভট্টাচার্য্য আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের মানের গোলরক্ষকের এখনও দেখা পাওয়া যায়নি। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে বাংলাদেশ যে’কটি ম্যাচ হেরেছে তার প্রায় অর্ধেক গোলগুলো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা হজম করেছে সেট পিস থেকে। আর প্রতি ম্যাচেই ক্রুইফের শিষ্যরা গোলরক্ষকদের ভুলের মাসুল দিচ্ছে। তাই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জাতীয় দলের জার্মান গোলরক্ষক কোচ ক্রিস্টিয়ান শোয়েচলারকেই মাঠে নামাচ্ছে গোলরক্ষকের খোঁজে।
সম্প্রতি শোয়েচলারের সঙ্গে বাফুফে এক বছর চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করেছে। এখন বাফুফের পরিকল্পনা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক প্রতিভাবান ও তরুণ গোলরক্ষক খুঁজে বের করা।
এ প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানালেন, 'সারাদেশ থেকে বাছাইকরে ২০-৩০ গোলরক্ষকদের সিলেটে অবস্থিত বাফুফে ফুটবল একাডেমীতে পাঠানো হবে। সেখানে তাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তারপর তাদের বিভিন্ন ক্লাবগুলোতে খেলানোর ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। পরবর্তীতে তারাই যোগ্যতা ভিত্তিতে জাতীয় দলে খেলবে। '
তিনি আরো জানালেন, 'আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বাফুফে ডেভেলপমেন্ট কমিটি এ বিষয়ে শোয়েচলারের সঙ্গে বসবে। শোয়েচলারকে এ বিষেয় জানানো হয়েছে। তিনিও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। '
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ৩০ জুন ২০১৫
ইয়া/এমএমএস