ঢাকা: ২০০৩ সালে প্রথম সাফ ফুটবলে শিরোপার স্বাদ পায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সেবার অস্ট্রিয়ান কোচ জর্জ কোটানের নেতৃত্বে প্রথম সাফের শিরোপা জেতে লাল-সবুজের পতাকাবাহীরা।
ওদিকে লিগের খেলার মাঝে কোচকে ছাড়তে নারাজ আবাহনী। ফিফার সঙ্গে কাজের সময়ে কিছুটা রদ-বদল করে তাকে দিয়েই লিগ শেষ করাতে চায় ক্লাবটি। ঠিক এমনটিই জানিয়েছেন আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে কোটানের সঙ্গে আবাহনীর ৬ মাসের চুক্তি হয়। এর মধ্যেই লিগ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় দলের খেলা ও বাধার কারণে সময় নষ্ট হয়েছে। ওদিকে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে নতুন কাজের জন্য চেষ্টা করেছে কোটান।
তবে কোটানের ভাষ্য অনুযায়ী তিনি জুলাইয়ের শেষ দিকে ফিফার প্রজেক্টে যোগ দিচ্ছেন। সেখান থেকে আবাহনীতে ফেরার কোনো উপায় নেই। আবাহনীর কোচ সমস্যার কথা জানিয়ে ইতোমধ্যেই ফিফায় জানিয়েছেন। তবে সপ্তাহখানেকের আগে এ বিষয়ে কিছু জানা যাবে না বলেও জানালেন তিনি।
হয়তো আর দশ/বারো দিন কোটানকে পাচ্ছে আবাহনী। তবে এরপর কে হচ্ছেন আবাহনীর নতুন কোচ? আকাশি-নীলদের পুরনো বন্ধু অমলেশ সেনের কথাই সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। তবে সত্যজিৎ দাস রূপু বিষয়টি স্বীকার করলেন না।
‘আমি এমন কিছু জানি না। আমরা কোটানকে লিগের বাকি সময়টা থাকতে বলেছি। ফিফার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন নতুন কাজের সময়টা সমন্বয় করে নিতে। বুধবারও তিনি দলকে কোচিং করিয়েছেন। ’- বলেন রূপু।
এ অবস্থায় বোঝাই যাচ্ছে বড় ধরণের সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে দলটি। কোটান যদি সত্যি চলমান প্রিমিয়ার লিগের মাঝপথে চলে যায় তবে বিপদের অন্ত থাকবে না পেশাদার লিগের চারবারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটির।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ০১ জুলাই ২০১৫
ইয়া/এমজেএফ