ঢাকা: আর একটি ম্যাচ জিতলেই কোপা আমেরিকা ৪৪তম আসরের শিরোপা ঘরে তুলবে আর্জেন্টিনা। আর এ ট্রফি ঘরে তোলা মানে দেশটির ফুটবল ইতিহাসে ২২ বছর পর বড় কোন শিরোপা খরা কাটাবে আলবেসেলিস্তারা।
মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে প্যারাগুয়েকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করে। আর আগামী পাঁচ জুলাই স্বাগতিক চিলিরি বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে লড়তে হবে কোপা আসরের ১৪বারের চ্যাম্পিয়নদের।
শেষ চারের ম্যাচে মেসি কোন গোল করতে পারেন নি। তবে আর্জেন্টাইন এ অধিনায়কের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় পাঁচটি গোল হয়েছিল। সেদিন তিনি ডিফেন্ডার থেকে মিডফিল্ডার সব পজিশনে খেলেছেন। মেসি ও আর্জেন্টিনার এক বছরের মাঝে এটি দ্বিতীয়বার বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা। সর্বশেষ ব্রাজিল বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ফাইনালে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় দলটির।
১৯৯৩ কোপা আমেরিকা জয়ের পর আর্জেন্টিনা আর কোন বড় শিরোপা জেতেনি। সে সময় মেসির বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। ২০০৭ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে কোপার ফাইনাল খেললেও সেবার চীর প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে হারতে হয়। আর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে উরুগুয়ের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায়।
মেসি বার্সার হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছে। তবে তার প্রতি সমালোচনা হয় যে, তিনি ক্লাবের মত করে জাতীয় দলে খেলেন না। কিন্তু সেমিফাইনালে জয়ের পর মেসি জানিয়েছিলেন, তিনি অবশ্যই জাতীয় দলের হয়ে একটি শিরোপা জিততে চায়।
যদিও মেসি ২০০৮ সালে আর্জেন্টিনা অনূধ্ব-১৯ দলের হয়ে অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছিলেন। তবে সেটি ছিল জুনিয়র দল। মূল দলের হয়ে এখন পর্যন্ত কোন শিরোপা জয় করতে পারেন নি তিনি।
এদিকে ফাইনাল ম্যাচকে সামনে রেখে কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত মেসি বাহিনী। চিলির সিএপি স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে অনুশীলনে ঘাম ঝড়ান দলের প্রত্যেক ফুটবলার।
মেসি, সার্জিও আগুয়েরো, কার্লোস তেভেজ, জাভিয়ার মাশ্চেরানো, মার্কোস রোহো, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া সহ দলের অন্য তারকারা এদিন ফুটবল, স্ট্রেচিং, রানিং ও ব্যায়াম করে সময় পার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৫
এমএমএস/