ঢাকা: বুধবার সকাল থেকে রোদ ঝলমলে দিনটি রঙ পাল্টাতে শুরু করে। দুপুরে এক পশলা বৃষ্টির কারণে চলমান প্রিমিয়ার লিগে শেখ রাসেল-ঢাকা মোহামেডানের মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচটি হুমকির মুখে পড়ে।
এ ম্যাচে প্রতিশোধের সুযোগ ছিল সাদা-কালো শিবিরের। কারণ, প্রথম লেগে রাসেলের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল মোহামেডান। কিন্তু দ্বিতীয় লেগেও পরাজয়ের স্বাদ নিল ঐতিহ্যবাহী দলটি। এ জয়ের ফলে ১২ ম্যাচে অষ্টম জয়ে শেখ রাসেলের সংগ্রহ ২৬। সেইসঙ্গে পঞ্চম অবস্থান থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এলো দলটি। তবে দুইদলের পয়েণ্ট সমান থাকার পরও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় অবস্থানেই রয়ে গেল মোহামেডান।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে এগিয়ে যাবার সুযোগ ছিল শেখ রাসেলের। বক্সের কাছেই ফ্রি কিক পায় মারুফুল হকের শিষ্যরা। কিন্তু মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেনের ফ্রি কিক মোহামেডানের রক্ষণভাগে চিড় ধরাতে ব্যর্থ হয়।
২০ মিনিটে আবারও একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় বেঙ্গল ব্লুজদের। এসময় জাহিদের ক্রস বক্সে পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন জাহিদ হাসান এমিলি। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে এগিয়ে যায় মারুফুল হকের শিষ্যরা। জাহিদ হোসেনের ফ্রি কিকে বল পেয়ে দর্শনীয় শটে মোহামেডানের জাল কাঁপিয়ে দেন অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরী (১-০)।
তবে ৭০ মিনিটে সমতায় ফেরার একটি সুযোগ হাতছাড়া করে মোহামেডান। বা প্রান্ত থেকে মিডফিল্ডার জুয়েল রানার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নেয় রাসেলের গোলরক্ষক লিটন। খেলার ৭৮ মিনিটে আবারও সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে সাদা-কালোরা। এসময় বক্সে ঢুকে জোরালো শট নিয়েছিলেন মিডফিল্ডার ইব্রাহিম। কিন্তু গোলরক্ষক বলটি ফিরিয়ে দিলে, ফিরতি বলে আবারও গোলপোস্ট বরাবর শট নেন কিন্তু বল খুঁজে পায়নি জালের ঠিকানা।
৮৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করে শেখ রাসেল। ডিফেন্ডার সোহেল রানার ক্রসে হেড করে গোল করেন মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস (২-০)। এদিন আসলে ভাগ্যদেবী সহায় ছিল না জসিম উদ্দিন জোসির শিষ্যদের। কারণ, এরপর মোহামেডানের একাধিক দলগত আক্রমণ আলোর মুখ দেখেনি।
তবে ইনজুরি সময়ে সান্তনাসূচক গোলের দেখা পায় মোহামেডান। শেখ রাসেলের বক্সে ওয়ালি ফয়সালের হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি পায় মোহামেডান। আর পেনাল্টি থেকে ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা লক্ষ্যভেদ করেন (২-১)। নির্ধারিত সময় শেষে রেফারি জসিম উদ্দিন বাঁশি বাজালে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মারুফুল হকের শেখ রাসেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ০৮ জুলাই, ২০১৫
ইয়া/এমএমএস