ঢাকা: ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডানের এবারের দলটিতে নেই কোন জাতীয় দলের খেলোয়াড়। তারপরেও তারুণ্য নির্ভর দলটি চমকের পর চমক দেখিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।
এ জয়ের ফলে ১৭ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান সুসংহত করলো সাদা-কালোরা। আর ১৫ ম্যাচে ফেনীর সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট, অবস্থান সপ্তম।
ম্যাচের ৫ মিনিটে সুযোগ পায় মোহামেডান। কিন্তু ডান প্রান্ত থেকে জুয়েল রানার ক্রস বক্সে পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। ১১ মিনিটে আবারো সুযোগ মিস করেন এই ফরোয়ার্ড। বা প্রান্ত থেকে তার শট ফিরিয়ে দেন ফেনী সকারের গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপু। তবে ফিরতি বলে জোড়ালো শটে বিপুকে বোকা বানিয়ে গোল করেন ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার বেলিঙ্গা আমাবারা (১-০)।
১৯ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ফেনীর গামবিয়ান মিডফিল্ডার দাওদা চেসি। বক্সে বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন তিনি। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় সাদা-কালো শিবির।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে সমতা আনে লাডিবাবার শিষ্যরা। ৫০ মিনিটে গামবিয়ান জাত্তা মোস্তফার কর্ণারে বক্সে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় মোহামেডানের জালে পাঠান বদলী ফরোয়ার্ড সোহেল মিয়া (১-১)।
আর ৬০ মিনিটে বক্সের মধ্যে জুয়েল রানা কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বা প্রান্তে ইসমাইল বাঙ্গুরাকে বল দিলেও তিনি বল রিসিভ করতে ব্যর্থ হন। ৭০ মিনিটে বক্সের কোনায় ফ্রি কিক পায় সাদা-কালোরা। মিডফিল্ডার জুয়েলের ফ্রি কিক বক্সে পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি মোহামেডানের একাধিক খেলোয়াড়। এর চার মিনিট পর সকারের সুযোগ এসেছিল। বক্সে বল পেয়ে শটও নিয়েছিলেন সোহেল মিয়া। কিন্তু বল জড়ায়নি জালে।
৮১ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় ফেনী। মাঝ মাঠে মোবারককে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার স্মরণ হাওলাদার। এ সুযোগটি কাজে লাগায় সাদা-কালো শিবির। ৮৪ মিনিটে ফেনীর জালে বল পাঠান ইসমাইল (২-১)।
তবে অন্তিম মুহূর্তে সমতায় ফেরার সুযোগটা হাতছাড়া করে ফেনী। বদলি মিডফিল্ডার আবদুল্লাহ আল মামুনের শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক আশরাফুল হক রানা। ফিরতি বলে আবারো শট নেন মামুন। তবে এবারও দক্ষতার সঙ্গেই বল বিপদমুক্ত করে সাদা-কালোর রক্ষণভাগ। ফলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে জসিম উদ্দিন জোসির শিষ্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ২৬ জুলাই, ২০১৫
ইয়া/আরএম