ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

স্ত্রী’র কারণে অবসর নেবেন ফন গাল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৫
স্ত্রী’র কারণে অবসর নেবেন ফন গাল ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ২০১৭ সালে কোচিং ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন ইংলিশ প্রিমিয়ারের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ লুইস ফন গাল। স্ত্রীকে দেওয়া কথা রাখতেই তিনি ফুটবলের বাইরে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।



৬৩ বছর বয়সী ফন গাল ২০১৪ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ারের দলটির দায়িত্ব নেন। ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডসের সাবেক এ কোচের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরপরই তিনি ফুটবল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চান বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ফন গাল বলেন, আমি ৫৫ বছর বয়সে ফুটবল থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলাম। তবে, সময়ের চাহিদায় আমি ফুটবলের বাইরে যেতে পারিনি। এখন আমার বয়স ৬৩। আমি আরও দুই বছর ম্যানইউতে চুক্তিবদ্ধ। ২০১৭ সালের আগস্টে আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। এরপরই আমি ফুটবল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেব। আমার স্ত্রীকে আমি এমনটিই কথা দিয়েছি। ফুটবলের কারণে অনেকদিন আমরা একে অপরকে সময় দিতে পারছি না। ফুটবলকে বিদায় জানানোর অন্য কোনো কারণ নেই।

তিনি আরও বলেন, আমি আমার কোচিং ক্যারিয়ারে সবকিছুই করেছি। নিজের দেশকে (নেদারল্যান্ডস) নিয়ে কাজ করেছি। স্পেন আর জার্মানির সেরা দুইটি দলকে নিয়ে কাজ করেছি। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে নিজের দলকে নিয়ে খেলেছি। এখন একটাই চাওয়া বাকী রয়েছে। সেটি হলো ইংলিশ প্রিমিয়ারের শিরোপা জেতা। আর সে জন্যই আমি এখানে চেষ্টা করে যাব।

ফন গালকে বড় অঙ্কের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে কাতারের একটি ক্লাব। ম্যানইউতে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কাতারের ক্লাবটিতে তাকে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে ফন গাল বলেন, আমি চাইলেই তাদের প্রস্তাবে রাজী হতে পারি। কিন্তু, স্ত্রীকে নিয়ে বাকী জীবনটা একসঙ্গে পার করে দিতে চাই আমি। কাতারের ক্লাবটিতে যোগ দিলে আমি জীবনে আরও কিছু সম্পদের মালিক হতে পারতাম। কিন্তু স্ত্রীকে দেওয়া কথামতো আমি ফুটবলকে ২০১৭ সালেই বিদায় বলতে চাই।

ক্লাব কোচিংয়ের অন্যতম এ কোচ নেদারল্যান্ডসকে দুই মেয়াদে কোচিং করিয়েছেন। এছাড়া ক্লাব পর্যায়ে কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন বার্সেলোনা (দুই মেয়াদে), বায়ার্ন মিউনিখ, আয়াক্সের মতো বড় দলে। আয়াক্সকে জিতিছিলেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। এছাড়া বার্সাকে দুইবার পাইয়ে দেন লা লিগার শিরোপা, একবার কোপা দেল রে’র শিরোপা এবং একবার উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা। ২০০৯-১০ মৌসুমে বায়ার্নকে পাইয়ে দিয়েছিলেন বুন্দেসলিগা, ডিএফবি পোকাল আর ডিএফবি সুপার কাপের শিরোপা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ২৭ জুলাই ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।