ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

শিরোপা জিতলো শেখ জামাল

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৫
শিরোপা জিতলো শেখ জামাল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলে নিলো শেখ জামাল।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গত লিগের শিরোপাধারী ‘বেঙ্গল ইয়োলোস’ খ্যাত শেখ জামাল ধানমন্ডির মুখোমুখি হয় ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’ খ্যাত ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড।



ম্যাচে মোহামেডানকে ৩-২ গোলে পরাজিত করে ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা জিতে নেয় শেখ জামাল।

প্রিমিয়ার লিগে ২২ রাউন্ডে মোট ১১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে ১৯ রাউন্ডের ৯২টি ম্যাচ। আরও বাকি আছে তিন রাউন্ডের ১৮ ম্যাচ। কিন্তু জামাল-মোহামেডান ম্যাচটাতেই দৃষ্টি ছিল সবার। কারণ অনেক হিসেব-নিকেশই জমিয়ে তুলেছে জামাল-মোহামেডান দ্বৈরথকে। নিজেদের ২০ ম্যাচের ১৮টিতেই শিরোপার স্বাদ নিল জামাল। কারণ ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দলটি এখন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এ নিয়ে পেশাদার লিগের অষ্টম আসরে তিন বার শিরোপার স্বাদ নিল জামাল। এর আগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১০-১১ এবং ২০১৩-১৪ মৌসুমে।

খেলা শেষে শিরোপাজয়ী জামালের অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের হাতে ট্রফি তুলে দেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। এছাড়া পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, শেখ জামালের সভাপতি মনজুর কাদের।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ম্যাচে ছিল বাড়তি উত্তেজনা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মাঝে ছিল দুই দলের শক্তির প্রদর্শনের মহড়াও। দুই মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত শেখ জামাল। তবে এমেকা ডার্লিংটনের শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে।

ছয় মিনিটে ভাগ্য ভালো না হওয়ায় গোলের দেখা পায়নি মোহামেডান। এ সময় বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক নিয়েছিলেন হাবিবুর রহমান সোহাগ। তবে তা প্রতিহত হয় শেখ জামালের রক্ষণভাগে। উড়ন্ত বল চলে যায় গোল পোস্টের দিকে। কিন্তু ভাগ্য ভালো জামালের, পোস্টে লেগে ফিরে আসে বলটি।

২৪ মিনিটে মোহামেডানের মোবারক হোসেন ভুইয়ার শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। তবে এর মিনিট পাঁচেক পরই বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক নিয়েছিলেন মোহামেডানের সোহাগ। এবার বাধা হয়ে দাঁড়ান শেখ জামালের গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিশ্চিত গোল থেকে দলকে বাঁচান তিনি।

ম্যাচে প্রথম গোলের করে শেখ জামাল। ৩৩ মিনিটে অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের কর্নার কিকে মাথা ছুঁয়ে দলকে লিড এনে দেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ডার্লিংটন (১-০)।

এরপর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে যায় মোহামেডান। ৩৯ মিনিটে ইসমাঈল বাঙ্গুরার পাসে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন তরুণ রাইট উইঙ্গার জুয়েল রানা (১-১)।

৪৩ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত শেখ জামাল। এ সময় ডার্লিংটনের পাসে ওয়েডসনের শট চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে বাতাস লাগিয়ে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে চমক দেখায় মোহামেডান। অধিনায়ক অরুপ কুমার বৈদ্যও নিখুঁত ক্রসে হেডে করে শেখ জামালের জালে বল পাঠান ইসমাঈল বাঙ্গুরা। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সাদা-কালো শিবির।

তবে শেখ জামাল দ্বিতীয়ার্ধে মুহুর্মুহু আক্রমণে কাঁপিয়ে তোলে মোহামেডানের রক্ষণভাগ। ৫৫ মিনিটে ম্যাচে সমতাও আনে তারা। এমেকার ক্রসে ওয়েডসনের দুর্দান্ত হেড। ২-২ গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় মামুনুল শিবির।

তবে সমতা আসার পর শেখ জামাল ছিল আরও আক্রমণাত্মক হয়ে যায়। ৭৪ মিনিটে বক্সের সীমানা ঘেঁষে ফ্রি কিক পায় শেখ জামাল। এবং তার সদ্ব্যবহার করেন গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং ডারবো। তার নেয়া দুর্দান্ত ফ্রি কিকের তাকিয়ে দেখে মোহামেডানের গোলরক্ষক (৩-২)। শেষ পর্যন্ত আর কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। ফলে ৩-২ গোলের জয় দিয়ে শিরোপা উৎসবে করে মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল শিবির।   

ওদিকে, দ্বিতীয় হওয়ার দৌড়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কেননা এখনও তাদের বাকি রয়েছে ৪ ম্যাচ।   ১৬ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৩২ পয়েণ্ট। আর শেখ রাসেল থেকে দুই ম্যাচ বেশি খেলে ৩৪ পয়েণ্ট সংগ্রহ করেছে ঢাকা মোহামেডান। আর ১৭ ম্যাচে আবাহনীর সংগ্রহ ৩১ পয়েণ্ট। তাই দ্বিতীয় হওয়ার সুযোগটা থেকেই যাচ্ছে শেখ রাসেলের।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৫
ইয়া/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।