ঢাকা: এ কি বললেন রিস্টো স্টয়চকভ! লুইস ফন গাল নাকি বার্সেলোনা ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দুটো ক্লাবই ধ্বংস করছেন। পেদ্রো রদ্রিগেজের ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাড়ি জমানোর গুঞ্জনের জের ধরেই এ মন্তব্য করেছেন বার্সেলোনার সাবেক এ বুলগেরিয়ান ফরোয়ার্ড।
ফন গালকে রীতিমতো খারাপ ব্যক্তি হিসেবে অবহিত করেছেন স্টয়চকভ। পেদ্রো যাতে ম্যানইউতে যোগ না দিয়ে ন্যু ক্যাম্পেই থেকে যায় সে আহ্বানও জানিয়েছেন। এজন্য তিনি ভিক্টর ভালদেসের উদাহরণ টেনে আনেন।
এক সাক্ষাৎকারে স্টয়চকভ বলেন, ‘পেদ্রো ক্লাব ছাড়লে বার্সার আক্রমণভাগে ব্যাপক ক্ষতি হবে। এটা ঠিক যে মেসি, নেইমার, সুয়ারেজের জন্য গত মৌসুমে পেদ্রো নিয়মিতভাবে প্রথমে একাদশে সুযোগ পায়নি। এজন্যই হয়তো সে ম্যানইউ যোগ দেবে। তবে তাকে এটাও মাথায় রাখতে হবে, ভালদেসের মতো গোলরক্ষককে দলে নিয়ে এখন তাকে অনেকটাই একঘরে করে রেখেছে ম্যানইউ। ’
বার্সার কোচ থাকাকালীন সময়ে ফন গালের অধীনে খেলেছিলেন স্টয়চকভ। কিন্তু, সাবেক কোচকে তিনি মোটেই সম্মানের চোখে দেখেন না। তার কথাতেই এটি স্পষ্ট। ‘ফন গালকে আমি কখনোই বড় করে দেখতে রাজি নই। তিনি মাঝারি মানের কোচ। বার্সা এবং ম্যানইউ দুটো ক্লাবকেই তিনি ধ্বংস করছেন। ভালদেসের সঙ্গে যা করেছেন তাতেই তার খারাপ দিকটি ফুটে উঠেছে। আশা করছি, ন্যু ক্যাম্প না ছেড়ে পেদ্রো আমার কথাটা শুনবে। ’
অবশ্য, এবারই প্রথম ফন গালের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েননি স্টয়কভচ। ১৭ বছর আগে বার্সা অধ্যায়ের ইতি টানার পেছনেও ডাচ কোচকে দায়ী করেছিলেন।
সাবেক বার্সা তারকা উল্লেখ করেন, ‘ফন গালের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র সম্মান নেই। একদিন আমি ইনজুরিতে ভুগছিলাম। ন্যু ক্যাম্পে আমি আমার স্ত্রীর পাশেই ছিলাম। তখন ফন গাল আমার স্ত্রীকে বলেন, কী করে সে আমাকে বিয়ে করল। তবে আমার স্ত্রী উত্তরে বলে, আমি ব্যালন ডি’অর জয়ীকে বিয়ে করেছি। ১৯৯৮ সালে ফন গালের কারণেই আমি বার্সা ছেড়েছিলাম। ’
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে বুলগেরিয়ার হয়ে প্রথম ও বার্সার তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আরাধ্য ব্যালন ডি’অর অ্যাওয়ার্ড জেতেন স্টয়চকভ। খেলোয়াড়ী জীবনে কাতালানদের হয়ে তিনি পাঁচটি লা লিগাসহ একটি ইউরোপিয়ান কাপ জেতেন। এছাড়াও রয়েছে তিনটি স্প্যানিশ সুপার কাপ, দুটি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ, একটি কোপা দেল রে, একটি উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ ও একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা।
তখনকার সময়ে স্টয়কভচ ছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। আর বুলগেরিয়ার ফুটবল ইতিহাসে তো তাকে সর্বকালের সেরা হিসেবেই ভাবা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৫
আরএম