সিলেট: সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪-০ গোলে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ৮৫ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলদাতা সারোয়ারের দ্বিতীয় গোলে বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়ায়।
৭৬ মিনিটের মাথায় কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলে হেড করে গোল করেন আতিক। এর আগে ১০ নম্বর জার্সি পরিহিত আবেদিন রাকিবের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৬০ মিনিটের মাথায় তিনি গোলটি করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ মিনিটে সারোয়ার নিপুর একটি শট গোলবারে লেগে ফিরে আসে।
আজকের ম্যাচটিতে জয় পেলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের।
প্রথমার্ধ শেষে লিড ধরে রাখে বাংলাদেশ। জুনিয়র ফুটবলারদের দারুণ নৈপূণ্যে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি হলেও ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের হয়ে লিড নেন সারোয়ার জামান নিপু। ৯ নম্বর জার্সি পরিহিত এ ফুটবলারের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এর দুই মিনিট আগে আরেকটি গোলের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে, অফসাইটের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
ম্যাচের ১৯ মিনিটের মাথায় আবারো আক্রমণ চালায় বাংলাদেশ। নারায়নগঞ্জের ফুটবলার এবং দলের অধিনায়ক শাওনের সরাসরি শটটি রুখে দিয়ে দলকে দ্বিতীয় গোলের হাত থেকে রক্ষা করেন শ্রীলঙ্কার গোলরক্ষক। ডি-বক্সের বাইরে থেকে শাওন জোরোলো শটটি নেন।
ম্যাচের প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানালেও গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরে বিকেল ৫টায় মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। নিজেদের দেশে টুর্নামেন্টটি হওয়ায় সাফল্য পেতে একটু বেশি প্রত্যয়ী বাংলাদেশের কিশোররা।
গত দুটি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল নেপালে। দুটি আসরেই বাংলাদেশের কিশোররা সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে। ২০১১ সালে প্রথম আসরে ছয় দলের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। পরের আসরে (২০১৩ সালে) সাত দলের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিল বাংলাদেশের কিশোররা।
এবার আর নিজেদের মাঠে খেলা হওয়ায় দর্শকদের বাড়তি সমর্থনও কিশোরদের মনোবল আরও বাড়িয়ে তোলে। স্বাগতিকদের খেলা দেখতে ফুটবল প্রেমীদের ভীড় দেখা যায় সিলেট জেলা স্টেডিয়াম এলাকায়। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে অনেককে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।
খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। এছাড়া ম্যাচের ধারাবিবরণী সম্প্রচার করে বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৫
এমআর
** সারোয়ারের গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ