চট্টগ্রাম: দফায় দফায় ব্যর্থ আক্রমণ সঙ্গে দুর্বল শটের মহড়া। ফলাফল প্রতিপক্ষ দুর্বল চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র।
অন্যদিকে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে শেখ জামাল। মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রানার্স-আপ হতে মাত্র একটি জয় দরকার ছিল শেখ রাসেলের। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করায় শেখ রাসেলের অপেক্ষার প্রহর বাড়লো। তাই দিনের অপর ম্যাচে মোহামেডান বনাম রহমতগঞ্জের ম্যাচের উপর ঝুলে রইলো তাদের ভাগ্য।
চট্টগ্রামে আসার আগে বাফুফের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়ের কাছে শেখ রাসেলের কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, স্বাগতিক চট্টগ্রামের বিপক্ষে স্থানীয় কোনো রেফারি, লাইন্সম্যান ও ম্যাচ রেফারি না রাখতে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে তাদের সেই দাবি মানা হয়নি। ম্যাচের রেফারি, লাইন্সম্যান-সবাই ছিলেন চট্টগ্রামের। তাই ম্যাচ শেষে ক্ষোভ ধরে রাখতে পারেননি রাসেলের কর্তারা।
১৯ ম্যাচে শেখ রাসেলের সংগ্রহ ৩৯ পয়েন্ট, অবস্থান দ্বিতীয়। অন্যদিকে ১৯ ম্যাচে মোহামেডানের সংগ্রহ ৩৭ পয়েন্ট। আগামী ১৬ আগস্ট নিজেদের শেষ ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে রাসেলের রানার্সআপ হওয়ার ভাগ্য।
শেষ ম্যাচে যদি শেখ রাসেল হারে এবং মোহামেডান জয় পায় তবে সাদা-কালো জার্সিধারীরা হয়ে যাবে রানার্স-আপ। তবে পয়েন্ট টেবিলের বিচারে শেখ রাসেলের সম্ভবনাই বেশি। কারণ শেষ ম্যাচে জয় নয়, ড্র করলেই রানার্স-আপ হবে শেখ রাখেল ক্রীড়া চক্র।
ম্যাচের ২৯ মিনিট গড়াতেই গোল করার সুযোগ পায় শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় কিংসলে। তার শটে বল আবাহনীর গোলবারের উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় সুযোগ নষ্ট হয়।
এরপর ৩৯মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ভেতর থেকে শট করেন জা ইকাঙ্গা। তাও চলে যায় গোলবারের বাইরে। প্রথমার্ধে দু’দলই আক্রমণ করলেও সুযোগ বেশি পায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১মিনিটে আরেকটি সুযোগ হারায় ডামির ইবরিক। পেনাল্টি বক্সের কাছ থেকে তার লং শট গোলবারের উপর ঘেঁষে চলে যায়। এরপর ৫৫ মিনিটে ভিনসেন্ট বিশ্বাসের দুর্বল শটে পুনরায় সুযোগ হারায় শেখ রাসেল। অতিরিক্ত সময়ে মরণ কামড় দেয় শেখ রাসেলের খেলোয়াড়রা, কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ঝুলে যায় তাদের রানার্সআপ হওয়ার স্বপ্ন।
চট্টগ্রাম আবাহনী ঘরের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুললেও গোল করার তেমন সুযোগ পায়নি। ম্যাচের ৩১ মিনিটে ফ্রি কিকে গোলের সুযোগ থাকলেও দুর্বল শটের কারণে তা ভেস্তে যায়। তবে চ্যামরিন রাখাইন ও মোহাম্মদ হিমুর ক্রীড়া নৈপুণ্য ছিল দেখার মতো।
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরী ম্যাচ শেষে বলেন, অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু খেলোয়াড়রা তা কাজে লাগাতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৫
এএএম/টিসি/ইয়া/এমজেএফ