ঢাকা: হকি সমস্যা সমাধানে এই প্রথম প্রকাশ্যে আসলো হকি সংগঠক, ক্লাব ও হকি ফেডারেশনের কর্তারা। বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে হোটেল পূর্বানীতে দীর্ঘ তিন ঘন্টা ব্যাপী এ মত বিনিময় সভার শেষ কথা, হকির সার্থে বর্তমান কমিটির একাংশ 'পদত্যাগ' করতেও রাজি আছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হকি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এই সভার সভাপতি শামসুল বারী, হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ শিকদার, যুগ্ন সম্পাদক সাজেদ এ আদেল, সদস্য কামরুল ইসলাম কিসমত, মোহামেডানের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, মেরিনার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ খান রানা।
প্রিমিয়ার লিগের ১১ দলের মধ্যে ৯টি, প্রথম বিভাগের ১০টি দলের মধ্যে ৮টি। আর দ্বিতীয় বিভাগের ১২ দলের মধ্যে ৯টি দল উপস্থিত ছিল।
দলগুলোর প্রতিনিধিদের ভাষ্য হকির সার্থে যে কোন ছাড় দিতে রাজি তারা। তবে বৈঠকে প্রিমিয়ার লিগের দলের মধ্যে আবাহনী ও রেলওয়ে উপস্থিত ছিল না।
সভা শেষে মোহামেডানের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া জানালেন, 'আমরা চাই মাঠের খেলা হকি মাঠে ফিরে আসুক। তবে বর্তমান কমিটির একরোখা মনভাবের কারণে এ সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। খেলার জন্য চেষ্টা করেও কোন কাজ হয়নি। তবে আমরা চাই এ সমস্যার সমাধান হোক। '
আর এ বৈঠকের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ শিকদার জানলেন, 'আমার উপর যে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা যথাযথ ভাবে পালনের চেষ্টা করছি। ক্লাবগুলোর সাথে সংকট নিরসনে বিষয়ে দীর্ঘ সময় কথা হয়েছে। আমার পদ থেকে আমি সরে গেলে যদি সমস্যার সমাধান হয়, তাবে আমি তা করতে রাজি আছি। সব ঠিক থাকলে শীগ্রই সমাধানের পথ বের হয়ে আসবে। '
মেরিনার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ খান রানা সোজা সাপ্টা বলেন, ' হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ সরে গেলেই সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। তার পদত্যাগ কার উচিৎ।
তবে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় ভূমিকার উপর নির্ভর করছে হকি ফেডারেনের একাংশ পদত্যাগ করবে নাকি তারা আলোচনার ভিত্তিতেই সমাধানের একটি পথ খুজে বের করবে। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত পানি কোথায় গড়ায়।
বাংরাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৫
ইয়া/এমএমএস