ঢাকা: মহান ১৯৭১ সালের জুন মাস। বাংলার মুক্তি পাগল মানুষ তখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত।
শৈশব থেকেই প্রচণ্ড ডানপিঠে প্যাটেল স্কুল জীবনে যুক্ত হন রাজনীতিতে। স্কুল জীবনে ঢাকার গেন্ডারিয়া হাইস্কুলের ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে কায়েদ-ই-আজম কলেজের (বর্তমান শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) ছাত্রলীগ শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি হন। এই সময়টায় তিনি ঢাকায় প্রথম বিভাগ ফুটবলে পিডব্লিউডি'র একজন খেলোয়াড় ছিলেন।
স্বাধীনতা লাভের আগে ৪৪টি ইউনিয়নে ভাগ ছিল ঢাকা। সেসময় ঢাকার ৪৪টি ইউনিয়নের মধ্যে হাসনাবাদ ছিল (বর্তমান সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, পোস্তগোলার একাংশ) মুসলিম লীগের অন্যতম ঘাঁটি। কারণ প্রভাবশালী মুসলিম লীগের সকল নেতাদের বাড়ি সেখানেই ছিল। এই বিবেচনায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত প্যাটেলকে ভালোবাসতেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল তার বাল্যবন্ধু হবার সুবাদে রাজনৈতিক অঙ্গনেরও প্রিয় মুখ ছিলেন প্যাটেল।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার পর তিনি বহুকষ্টে আগরতলা দিয়ে পাড়ি জমান ভারতে। ভারতে গিয়ে পুরনো ঢাকার একসময়ের নামজাদা ব্যবসায়ী সুবোধ সাহার বালিগঞ্জের বাড়িতে ওঠেন প্যাটেল, সঙ্গে শরাফতগঞ্জ ইউনিয়ন (বর্তমান গেন্ডারিয়া) আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, ফরিদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মহসীন, বিক্রমপুরের দক্ষিণ চারিগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান ভূইয়া প্রমুখ। সেই বাড়িতে থাকাবস্থায় প্যাটেল সঙ্গীদের সঙ্গে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু শুরুতে তারা যুদ্ধের মধ্যে ফুটবল খেলার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও পরবর্তী সময়ে প্যাটেলের যুক্তির কাছে হার মানেন।
তারপরের গল্প? সে গল্প শোনা যাক সাঈদুর রহমান প্যাটেলের মুখেই।
শুরুর গল্প
জুনের প্রথম সপ্তাহে হবে। আমরা সকালের নাস্তার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলাম। আমি তাদের জানালাম, আমরা যারা ফুটবলার রয়েছি, তারা একটি দল গঠন করলে কেমন হয়। নাম হবে ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’। প্রথমে উপস্থিত সবাই বললেন, ‘কী যে বল, দেশে লাখ লাখ লোক মারা যাচ্ছে। আর তোমরা ফুটবল খেলবে। যুদ্ধের মধ্যে ফুটবল খেলছে, মানুষ কী মনে করবে। ’ আমি তাদের বললাম, খেলোয়াড়রা আমাদের সম্পদ, তাদের মরলে চলবে না। তাদের কাজে লাগাতে হবে। ৯০ মিনিটে মাঠে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের জন্য খেলবো আমরা। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধের জন্য জনমত গঠন ও অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত হবে। তখন তাদের মনোভাব খানিকটা পরিবর্তিন হলো। তারপর আমরা একটা প্রস্তাবনা তৈরি করি। কারণ খেলতে হলে বাংলাদেশ সরকার, ভারত সরকার এবং ভারতের ফুটবল ফেডারেশনের অনুমতি লাগবে।
প্রাথমিক প্রস্তাবনা
আমরা প্রাথমিক কাজ শুরু করলাম। দরখাস্ত করলাম মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বরাবর। এর মধ্যে জানতে পারলাম, চার নেতার মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান কলকাতায় বসেন। তার হাতেই ছিল অর্থায়নের মূল দ্বায়িত্ব। আমরা তার সঙ্গে দেখা করলাম, আমাদের কথা শুনে তো বেশ খুশি কামরুজ্জামান। তিনি আমাদের চার জনকে ৮০০ রুপি দিলেন। তবে ওখানেও বাধার সম্মুখীন হয়েছি। নবাবগঞ্জের এমপি সুবেদ আলী টিপু ওখানেই আমাদের বললেন, ‘তোমরা যুবক ছেলে, যুদ্ধে যাও, ফুটবল খেলবা কেন!’ কিন্তু আমি তাকে ছাড়লাম না। তাকে বললাম আপনি এমপি তো কি হয়েছে, আপনি যান। আমরা তো যে যার জায়গা থেকে আমাদের কাজটি করছি, আপনিও করেন। কামরুজ্জামানের ধমকে দমে গেলেন সুবেদ আলী টিপু।
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও অনুমোদন
‘বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতি’র প্রথম সভাপতি ও সাবেক পাট মন্ত্রী শামসুল হক আমাদের যথেষ্ঠ উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি আমাকেসহ শরাফতগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, ফরিদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মহসীন, বিক্রমপুরের দক্ষিণ চারিগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান ভূইয়াকে ১৩ জুন আট নম্বর থিয়েটার হলে নিয়ে গেলেন। তখন সেখানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বসেন। আমরা ভেতরে যেতেই তাজউদ্দীন আহমদ সাহেব আমাকে প্রশ্ন করলেন; ‘কী খবর?’ ওনাকে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনের বিষয়ে জানালাম। তখন তার পাল্টা প্রশ্ন, ‘কেন করেত চাও?’ আমি তাকে তিনটি বিষয় সম্পর্কে বললাম; ১. মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে জনমত গঠন ২. অর্থ সংগ্রহ ৩. যে যার কাজ করছে। আপনি দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, শিল্পীরা গান গাইছে আর আমরা ফুটবলাররা ফুটবল খেলতে চাই। ‘এরা তো লিডার দেশের সম্পদ’ কথা শেষ না হতেই তিনি লাফিয়ে উঠে বুকে জিড়য়ে নিলেন আমাকে। তার কথাগুলো আজো কানে ভাসে আমার। তোমার মাথায় এতো সুন্দর বুদ্ধি কীভাবে এলো। তিনি একটু সময় নিয়ে বললেন, ‘টাকারও দরকার আছে আমাদের। তবে তার থেকে বড় বিষয় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে প্রচারণা। এটি খুবই বড় একটি বিষয়। ’ তিনি সঙ্গে সঙ্গেই অনুমোদন দিলেন। দিলেন ১৪ হাজার রুপিও। সঙ্গে তিনি ভারত ফুটবল ফেডারেশনের কাছ থেকে অনুমোদনের বিষয়টি নজরে আনলেন।
দলগঠন প্রক্রিয়া
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অনুশীলনের জন্য পার্ক-সার্কাস মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পেলাম। আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই খেলার জন্যও অনুমোদন পেয়ে গেলাম। কিন্তু থাকার যায়গা তখনও যোগাড় হয়নি। কার্নালি ম্যানশনে কুমিল্লার ব্যবসায়ী আকবরের সঙ্গে দেখা করলাম, তার ফ্লাটটি আমরা ভাড়া চাইলাম। কিন্তু তিনি কিছুতেই ভাড়া দিতে রাজি হলেন না। উল্টো মাসিক ৪৫০ রুপির ভাড়ার বিলাসবহুল ফ্লাটটি এমনিতে দিয়ে দিলেন। এও বলে দিলেন, ‘যতদিন দেশ স্বাধীন না হচ্ছে, তোমরা এখানে থাকবে। ’ ফলে থাকার জায়গার ব্যবস্থা হয়ে গেল।
তবে তখনও কোনো খেলোয়াড় যোগাড় হয়নি। আমরা একটি লিস্ট তৈরি করলাম। এর মাঝেই আমরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগাযোগ করলাম। সেখানে সৈয়দ হাসান ইমান ও আলী যাকের আমাদের সাহায্য করলেন। নিউজটি প্রচার করা হলো। ১৮ জুনের দিকে খেলোয়াড় যোগাড় করতে মঈন সিনহাকে ঢাকায় পাঠালাম। তিনি গেন্ডারিয়ার ফুটবলার লালু, শাহজাহান, শাহীনকে খুঁজে পেলেন। আর আমি কার্নালি ম্যানশনের রাস্তায় আবাহনীর আশরাফ (আবাহনীর খেলোয়াড়) ভাইকে দেখলাম। আশরাফ ভাই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে যুক্ত হলেন। তিনি আমাকে খেলোয়াড় আলী ইমাম, প্রতাপ শংকর হাজরা, নূর নবী ভাইয়ের ঠিকানা দিলেন। বারাসাত থেকে আব্দুল হাকিম ভাইকে আনা হল। তাদের দলের সঙ্গে যুক্ত করা হল। এরপর একে একে অনেকেই যুক্ত হল দলটির সঙ্গে। আর স্বাধীন বাংলা বেতারের মাধ্যমে জানতে পেরে অনেকেই চলে আসলেন আমাদের সঙ্গে। পরে শুনতে পেলাম আগরতলায় অনেক খেলোয়াড় এসেছেন। তাই ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমানে করে তাদের নিয়ে আসা হলো কলকাতায়। ফলে দল গঠনে আর কোন সমস্যা রইলো না। আর জুলাইয়ের প্রথম দিকে বালী ঘাট ক্যাম্প থেকে আমাদের দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু ও তান্না (ক্রিকেট খেলোয়াড়, পরবর্তীদের স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার) চলে আসেন।
বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতি গঠন
এরপর ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতি গঠিত’ হল। ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতি’র প্রথম সভাপতি ও সাবেক পাটমন্ত্রী শামসুল হক। আমাদের পরিকল্পনা ছিল এই ব্যানারেই বাংলাদেশের খেলাগুলো পরিচালিত করা। আমাদের ইচ্ছা ছিল পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট, সাতারসহ নানা ধরনেরর খেলা অয়োজন করা। এর মধ্যে কানাই লাল শর্মা আগরতলায় একটানা ৯০ ঘণ্টা সাঁতার কাটেন মুক্তিযুদ্ধের জন্য জনমত গঠনে। তবে তিনি সংবাদমাধ্যমের আলোয় তেমন উদ্ভাসিত হননি। কিন্তু কলকাতায় অরুণ নন্দী ৯০ ঘণ্টা একটানা সাঁতার কেটে বেশ সাড়া ফেলেছিলেন। আসলে আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছিলাম। আমরা তো বুঝতেই পারিনি, আমাদের প্রিয় স্বদেশ ভূমি ৯ মাসে স্বাধীন হয়ে যাবে।
স্বপ্নের দলের স্বপ্নযাত্রা
২৪ জুলাই নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর মাঠে স্থানীয় একাদশের বিপক্ষে ছিল আমাদের প্রথম ম্যাচ। মূলত ঐ দলটি ছিল ভারতীয় জাতীয় দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়। এদিন হাজারো মানুষ মেহেরপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ম্যাচ দেখতে মাঠে আসেন। ম্যাচের শুরুতে বড় মাপের একটি পতাকা নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ ও পতাকা উত্তোলনসহ জাতীয় সংগীত বাজানোর কথা থাকলেও অনুমতি না থাকায় তা হয়নি। পরে মাঠে আগত দর্শকদের দাবির মুখে নদীয়ার জেলা প্রশাসক স্বপ্রণোদিত হয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানোর বিষয়ে সম্মতি দেন। ম্যাচটি ড্র হয় ২-২ গোলে। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রথম গোল করেন মো. শাহজাহান। তবে, স্বীকৃতি ছাড়া বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানোর দায়ে চাকরিচ্যুত করা হয় নদীয়ার ডিসিকে। পরে অবশ্য তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।
৮ আগস্ট গোস্টপালের ক্লাবের বিপক্ষে খেলে আমাদের দলটি। আসলে গোস্টপাল একাদশ মূলত কলকাতার অন্যতম ফুটবল পরাশক্তি মোহনবাগান দলই ছিল। যুদ্ধের সময় হওয়ার কারণে নামটি পরিবর্তন করা হয়েছিল। এভাবেই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ১৬টি ম্যাচ অংশ নেয়। এরমধ্যে তারা ১২টি ম্যাচে জয়লাভ করে। বাকি চারটির একটিতে ড্র আর তিনটিতে পরাজিত হয়।
১৬টি ম্যাচের মধ্যে শেষ ম্যাচটি ঠিল ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় মুম্বাইয়ে। যেখানে মহারাষ্ট্র ফুটবল দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের খ্যাতনামা সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক নবাব মনসুর আলি খান পতৌদি (বর্তমান ভারতীয় চলচিত্রের তারকা সাইফ আলী খানের বাবা)। এর ফলে তিন লাখ রুপি আয় হয় বাংলাদেশের। যা মুক্তিযুদ্ধের ফান্ডে জমা দেওয়া হয়। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর দেশে ফেরেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।
একনজরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল
স্বপ্নের এ দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রাখা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। অপর দুই পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তাজউদ্দীন আহমদ। দলের প্রস্তাবক ও সংগঠক হিসেবে ছিলেন সাঈদুর রহমান প্যাটেল।
দলের প্রথম সভাপতি: শামসুল হক
দ্বিতীয় সভাপতি: আশরাফ আলী চৌধুরী
তৃতীয় সভাপতি: ছিলেন এন এ চৌধুরী
কোষাধ্যক্ষ: মোহাম্মদ মোহসীন
ম্যানেজার : তানভীর মাজহার তান্না
কোচ: ননী বসাক
খেলোয়াড়: জাকারিয়া পিন্টু (অধিনায়ক), প্রতাপ শংকর হাজরা (সহ-অধিনায়ক), আলী ইমাম, মোহাম্মদ কায়কোবাদ, অমলেশ সেন, আইনুল হক, শেখ আশরাফ আলী, বিমল কর, শাহজাহান আলম, মনসুর আলী লালু, কাজী সালাউদ্দিন, এনায়েতুর রহমান, কে এন নওশের উজ্জামান, সুভাষ সাহা, ফজলে হোসাইন খোকন, আবদুল হাকিম, তসলিমউদ্দিন শেখ, আমিনুল ইসলাম, আবদুল মমিন জোয়াদার, মনিরুজ্জামান পেয়ারা, সাত্তার, প্রাণগোবিন্দ কুন্ডু, মুজিবুর রহমান, মেজর জেনারেল (অব.) খন্দকার নুরুন্নবী, লুত্ফর রহমান, অনিরুদ্ধ চ্যাটার্জি, সনজিত্ কুমার দে, মাহমুদুর রশিদ, সাঈদুর রহমান প্যাটেল, দেওয়ান মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন ও নিহার কান্তি দাস।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
ইয়া/এমএমএস/এইচএ/