ঢাকা: চলমান মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রোববার (১৬ আগস্ট) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শিরোপা জেতার জন্য নয়, মর্যাদা রক্ষার দ্বৈরথে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের ফুটবলে ঐতিহ্যবাহী ও আলোচিত দুই দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড এবং ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। এটিকে কেউ কেউ ‘বাংলার এল ক্লাসিকো'ও বলে।
তবে ফুটবলের আগের সেই জোয়ার না থাকলেও দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথ উপভোগ করতে অনেকেই মাঠে আসেন। তবে এবার প্রতিশোধের আগুনে নিশ্চিত জ্বলার কথা আবাহনীর। কারণ লিগের প্রথম পর্বের দলটি ১-০ গোলে মোহামেডানের কাছে পরাজিত হয়েছিল।
এ ম্যাচে রয়েছে দুটি দিক। আজকের ম্যাচে যদি আকাশী জার্সিধারীরা সাদা-কালোদের পরাজিত করে তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ৩৭। অর্থাৎ মোহামেডানের সমান। ফলে আবাহনীর হাতে আরো এক ম্যাচ থাকবে। এ কারণে নিজেদের শেষ ম্যাচে ড্র করলেও পয়েন্টের হিসেবে মোহামেডানকে পেছনে ফেলতে পারবে আবাহনী লিমিটেড। সেই সাথে সুযোগ থাকবে লিগে তৃতীয় হওয়ার। আর মোহামেডান যদি জয় পায় তাহলে তাদের সুযোগ থাকবে লিগের রানার্সআপ হবার।
তবে দিনের প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেল বনাম রহমতগঞ্জের লড়াইয়ে যদি রাসেল পরাজিত হয়, তাহলে রানার্সআপ হওয়ার সুযোগ বাড়বে মোহামেডান-আবাহনীর। কারণ ১৯ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে মোহামডোন ও ১৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে আবাহনীর। তবে শেখ রাসেলের একটি আয়েশী জয় ঐতিহ্যবাহীদের সব স্বপ্ন শেষ করে দিতে পারে।
মোহামেডানের কোচ কাজী জসিমউদ্দিন জোসি ম্যাচ সম্পর্কে বলেন, ‘আবাহনী অবশ্যই ভাল দল। তবে আমরাও পিছিয়ে নেই। এসব ম্যাচে ফিফটি ফিফটি চান্স থাকে দুই দলেরই। যারা সুযোগ আগে কাজে লাগাতে পারবে, তাদের এ্যাডভান্টেজ থাকবে। দলের সবাই মানসিকভাবে আবাহনীকে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছি। ’
আর আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু জয় চান এই ম্যাচে, ‘এটা মর্যাদার লড়াই। ড্র বা হার নয়, আমরা মোহামেডানের বিপক্ষে যে কোন মূল্যে জয় চাই। জয়ের ব্যাপারে আমাদের আত্মবিশ্বাসের কোন কমতি নেই। তবে যারা স্নায়ূচাপ সামলে খেলতে পারবে, তারাই জিতবে। আশা করি ম্যাচটা অনেক উপভোগ্য হবে। ’
পেশাদার ফুটবল লিগে আবাহনী-মোহামেডান মোট মুখোমুখি হয়েছে ১৫ বার। এর মাঝে পাঁচটি জিতেছে আবাহনী। মোহামেডানের জয় তিনটিতে। বাকি সাত ম্যাচ হয়েছে ড্র।
এখন দেখার বিষয় মোহামেডান-আবাহনী দ্বৈরথে কে হাসবে শেষ হাসি?
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
ইয়া/এমএমএস