ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

এমিলের হ্যাটট্রিকে রানার্সআপ শেখ রাসেল

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫
এমিলের হ্যাটট্রিকে রানার্সআপ শেখ রাসেল ছবি : শোয়েব মিথুন /বাংলানিউজটোয়েন্টি.কম

ঢাকা: ‘মান্যবর প্রিমিয়ার লিগে’ রানার্সআপ হতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না শেখ রাসেলের সামনে। তবে প্রতিপক্ষ 'জায়ান্ট কিলার রহমতগঞ্জ বলে খানিকটা শঙ্কা ছিলই।

কিন্তু ম্যাচ জুড়ে মারুফুল হকের শিষ্যরা অসাধারণ পারফর্ম করে ৪-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

সেই সাথে ২০ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে প্রথমবারের মতো পেশাদার লিগে রানার্সআপ হবার গৌবর অর্জন করলো দলটি। ম্যাচে রাসেলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন ক্যামেরুন থেকে আসা ফরোয়ার্ড পল এমিল। এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শেখ রাসেল।

শুরু থেকেই ম্যাচে রাসেলের একচেটিয়া প্রভাব ছিল। কিন্তু প্রথমার্ধে দলটির অধিকাংশ আক্রমন রহমতগঞ্জের ডি-বক্স পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। ২৯ মিনিটে রাসেলের ক্যামেরুনিয়ান মিডফিল্ডার জেন ইকাঙ্গার দূরপাল্লার শট দারুণভাবে আটকে দেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক আলামিন। ৩৬ মিনিটে রাসেল আরো একটি দুর্দান্ত গোলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। মিঠুনের কর্নার কিকে হেড নেন এমিলি, তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ফলে বক্সের মধ্যে বল ক্লিয়ার করেন রহমতগঞ্জের দুই ডিফেন্ডার।

৪২ মিনিটে শেখ রাসেলের অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরী একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ঢুকে যান রহমতগঞ্জের ডি-বক্সে। প্রতিপক্ষের একজনকে বোকা বানিয়ে দর্শনীয় শটে গোল করেন (১-০)। তবে ৪৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করার সুবর্ণ সুযোগ মিস হয় রাসেলের। এ সময় ইকাঙ্গারের বাড়িয়ে দেওয়া বলটি ঠিক মতো রিসিভ করতে পারেন নি রাসেলের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগোজি। তাই চিগোজির দুর্বল শট সহজেই লুফে নেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক। ফলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বেঙ্গল ব্লুজ খ্যাত শেখ রাসেল।

দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে ছিল রাসেলের একক প্রদর্শনী। এ পর্বে রহমতগঞ্জের জালে তিনবার বল পাঠিয়েছে রাসেল। ৫৪ মিনিটে এগিয়ে যাবার আরো একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় তাদের। এ সময় বক্সের খুব কাছেই ফ্রি-কিক পেয়ে বদলি মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেন শট নিলেও রহমতগঞ্জের দেয়ালে বাধা পেয়ে বল ফিরে আসে।

এরপর আবারো ঘুরে দাঁড়ান মারুফুল হকের শিষ্যরা। ৫৭ মিনিটে বামপ্রান্ত থেকে জাহিদের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে রহমতগঞ্জের জালে বল পাঠান পল এমিল (২-০)। ৬৩ মিনিটে মিঠুনের ক্রসে উড়ন্ত বলে মাথা ছুঁইয়ে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন পল এমিল (৩-০)। আর ৭০ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে মিঠুন চৌধুরী স্কয়ার শটে বল পাঠান পল এমিলের দিকে। তিনি দুর্দান্ত শটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন (৪-০)। রাসেলের গোল রথ এখানেই সমাপ্ত হয়। নির্ধারিত সময় শেষে ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বেঙ্গল ব্লুজরা।

ম্যাচ শেষে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদি, পেশাদার লিগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম শেখ রাসেলের হাতে রানার্সআপ ট্রফি তুলে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ১৬ আগস্ট, ২০১৫
ইয়া/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।